দিল্লির লালকেল্লায় তাজা গ্রেনেড উদ্ধারকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়ায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেল্লার একটি কুয়ো থেকে ওই গ্রেনেড উদ্ধার হয়।
সঙ্গে সঙ্গে বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেন কেল্লার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা। বম্ব স্কোয়াডের সদস্যরা এসে গ্রেনেডটিকে নিষ্ক্রিয় করেন। পুরো লালকেল্লাকে ঘিরে ফেলে দিল্লি পুলিশ। খবর দেওয়া হয়ে এনএসজি-কেও। আর কোথাও কোনও বিস্ফোরক আছে কিনা, তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালায় ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি এবং দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ দল। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি গ্রেনেড পাওয়া গিয়েছে। আর কোথাও কোনও বিস্ফোরক মেলেনি। গত ফেব্রুয়ারিতেও এই লালকেল্লার চত্বর থেকে গুলি ও বাক্সভর্তি বিস্ফোরক পাওয়া গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: জবাব দেবই, বার্তা নরেন্দ্র মোদীর
প্রতি বছর যেখানে স্বাধীনতা দিবস পালন উপলক্ষে ভিভিআইপি-সহ হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়, যেখানে প্রতি দিন প্রচুর পর্যটক আসেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় কী ভাবে বার বার বিস্ফোরক, গ্রেনেড পাওয়া যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তা হলে কী নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোথাও ফাঁক থেকে যাচ্ছে? লালকেল্লার মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক স্থলে বার বার এমন ঘটনায় হতবাক বিশেষজ্ঞরাও।
২০০০-এর ডিসেম্বরে লস্কর জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল এই লালকেল্লায়। সেই ঘটনায় দুই জওয়ান এবং এক সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। সে দিনের হামলার পর থেকে লালকেল্লায় নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়।