শুধু অমেঠী-রায়বরেলী নয়, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস পাচ্ছে আরও আসন।
কালই উত্তরপ্রদেশ থেকে খবর ছড়িয়ে পড়ে, বিরোধী জোটের আসন সমঝোতা চূড়ান্ত। আর সেই হিসেবে রাজ্যের আশিটি লোকসভা আসনের মধ্যে মায়াবতী লড়বেন ৩৮টি আসনে, অখিলেশ ৩৭টি-তে। অজিত সিংহের দলকে দেওয়া হবে তিনটি। আর কংগ্রেস পাবে শুধুমাত্র অমেঠী ও রায়বরেলী। কিন্তু দিল্লিতে আজ কংগ্রেস নেতারা বলেন, ‘‘কংগ্রেসের সঙ্গে এমন কোনও সমঝোতা হয়নি। বরং সুপরিকল্পিত ভাবে এই ‘সমঝোতা’র কথা চাউর করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে বিরোধী জোটে থেকেই কংগ্রেস আরও বেশি আসন পাবে।’’
লখনউতে সমাজবাদী পার্টি সূত্রের মতে, ‘‘নিঃসন্দেহে কংগ্রেসকে আরও বেশি আসন দেওয়া হবে। কানপুর, বারাণসী, সহারনপুরের মতো আসন তাদের জন্য চিহ্নিত করাও হয়েছে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে এর থেকে বেশি আসন দেওয়া সম্ভব নয়।’’ গতকালই অবশ্য মায়াবতীর দলের নেতা সতীশ মিশ্র জানান, এই আসন ভাগাভাগির খবর ভুয়ো। কিন্তু বিরোধী শিবিরের অনেকেরই আশঙ্কা, বহুজন সমাজ পার্টি থেকেই এমন সমঝোতার খবর কেউ ফাঁস করেছেন, যাতে বিজেপিরই ফায়দা হয়। যাতে বিজেপি এই অজুহাতে কংগ্রেসকে বিঁধতে পারে।
কংগ্রেসের এক নেতার বক্তব্য, বিহারের মতো রাজ্যের বিরোধী মহাজোট ঘোষণা করার জন্য এআইসিসি দফতরে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন হচ্ছে। সে রাজ্যে আরজেডি বড় দল হলেও মহাজোট গঠনে নেতৃত্ব দিচ্ছে কংগ্রেস। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে মায়াবতীর দল আসলে বোঝাতে চায়, সেখানে কংগ্রেসের ‘দাদাগিরি’ চলবে না। প্রশ্ন হচ্ছে, দর কষাকষিতেও যদি কংগ্রেসের ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত দু’টির বদলে পাঁচটির মতো আসন বরাদ্দ হয়, তা হলে কংগ্রেস কী করবে?
দলের বক্তব্য, লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীকে পরাস্ত করতে রাহুল জোটের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবেন না। আবার গো-বলয়ের সব থেকে বড় রাজ্যে মাত্র পাঁচটি আসন মেনে নেওয়াও মুশকিল। সে ক্ষেত্রে দলের কর্মীদের মনোবলেও আঁচ পড়বে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস আশিটির মধ্যে এমন ত্রিশটির মতো আসন বেছে নেবে, যেখানে কংগ্রেস একার জোরে লড়লে বিজেপির লোকসান হবে। যে সব আসনে বিজেপির উচ্চবর্ণ কিংবা দলিত ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে পারবে কংগ্রেস। আবার বাকি বিরোধী দলেরও কোনও লোকসান হবে না। সপা-র মতে, ‘‘এই ‘সমঝোতা’র অঙ্ক প্রকাশ্যে আসায় শাপে বর হয়েছে।
অন্য রাজ্যে কংগ্রেস যে ‘দাদাগিরি’ দেখায়, সেটি যে উত্তরপ্রদেশে খাটবে না, সেই বার্তা গিয়েছে। আবার মায়াবতীও বাকিদের সঙ্গে সমঝোতায় আরও নমনীয় হবেন।’’