শেষ দফায় ৬১ শতাংশ, বিক্ষিপ্ত হিংসা কিছু রাজ্যে

বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছে বিহার থেকে। এ দিন ভোজপুরের বড়হরার বিধায়ক সরোজ যাদবের সঙ্গে পুলিশের মারপিট হয়েছে। অভিযোগ, বড়হরার কেশোপুর গ্রামের ৯৯ নম্বর বুথে এক আরজেডি সমর্থককে মারধর করে পুলিশ। ফলে এলাকায় পৌঁছান বিধায়ক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৯ ০৩:২২
Share:

বিহারের একটি ভোটকেন্দ্রে ভোটদাতাদের লাইন। ছবি: পিটিআই।

বিহার, পঞ্জাব ও মধ্যপ্রদেশে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া মোটের উপরে শান্তিপূর্ণ ভাবেই মিটল লোকসভা ভোটের সপ্তম দফা। সাতটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৯টি কেন্দ্রে ভোট হয়েছে আজ। বিকেল ছ’টা পর্যন্ত গোটা দেশে গড়ে ৬১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছে বিহার থেকে। এ দিন ভোজপুরের বড়হরার বিধায়ক সরোজ যাদবের সঙ্গে পুলিশের মারপিট হয়েছে। অভিযোগ, বড়হরার কেশোপুর গ্রামের ৯৯ নম্বর বুথে এক আরজেডি সমর্থককে মারধর করে পুলিশ। ফলে এলাকায় পৌঁছান বিধায়ক। পুলিশকে গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। দু’পক্ষের মধ্যে বচসার জেরে মারপিট শুরু হয়। বিধায়কের বাবাকে পুলিশ লাঠি দিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। বড়হরার কেন্দ্রের একৌনা গ্রামে ৪৯ এবং ৫০ নম্বর বুথে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। পাল্টা লাঠি চালায় পুলিশ। জখম হন হোমগার্ড অরবিন্দ সিংহ এবং এএসআই আব্দুল খান।

বিহারের নালন্দার জেলার চন্দৌরা গ্রামের ২৯৯ নম্বর বুথে স্থানীয়দের একাংশ হামলা চালায়। ভোটের ইভিএম ভেঙে দেওয়া হয়। বিডিও রঞ্জনকুমার নিগমের গাড়িতে হামলা চালায়। কোনও রকমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান বিডিও। গ্রামের লোকেরা রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিল। বিডিও গিয়ে সাধারণের কাছে আবেদন করেন। এক বাসিন্দা ভোটও দেন। এতেই বয়কটের ডাক দেওয়া বাসিন্দারা বুথে হামলা চালায়। বিডিওয়ের গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেয়। খবর পেয়ে বিশাল বাহিনী গ্রামে যায়।

Advertisement

রোহতাস জেলার সূর্যপুরা ব্লকের অগরের খুর্দ গ্রামে ২৬৬ এবং ২৬৭ নম্বর বুথে বিজেপি এবং আরজেডির মধ্যে গোলমাল হয়। বক্সার লোকসভার মধ্যে থাকা এই গ্রামে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। বিশাল বাহিনী গিয়ে দু’পক্ষকেই নিয়ন্ত্রণ করে। গোলমালের জেরে দীর্ঘক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। অরওল জেলার আইয়ারা গ্রামের ২২ নম্বর বুথে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছায়। জহানাবাদ জেলার নারায়ণপুর গ্রামের বুথে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার গ্রামে যান। দু’পক্ষকে বুঝিয়ে শান্ত করে ফের ভোটগ্রহণ চালু করেন। পাটলিপুত্র লোকসভা কেন্দ্রের দানাপুরে বাসিন্দাদের ভোট দিতে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আরজেডির বিরুদ্ধে।

সকালে পঞ্জাবের লুধিয়ানা, সামানা ও মোগার মতো এলাকায় ইভিএমে বিভ্রাটের খবর পাওয়া যায়। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এস করুণা রাজু জানিয়েছেন, ৮টি ব্যালট ইউনিট, ১৩টি কন্ট্রোল ইউনিট ও ৮টি ভিভিপ্যাট যন্ত্র বদল করা হয়েছে। ভাটিন্ডা ও গুরদাসপুরে সংঘর্ষ হয় কংগ্রেস ও অকালি সমর্থকদের মধ্যে। ভাটিন্ডার তালওয়ান্ডি সাবোতে কংগ্রেস সমর্থকেরা গুলি ছোড়েন বলেও দাবি অকালি দলের।

হিমাচলপ্রদেশের ন’টি বুথে ইভিএমে গোলমালের অভিযোগ ওঠে। লাহুল-স্পিতির তাশিগাং গ্রামে ইভিএমে গলদের জন্য ১৩২ শতাংশ ভোট পড়ার রেকর্ড মিলেছে।

অন্য দিকে মধ্যপ্রদেশের দেওয়াস কেন্দ্রের আগর মালওয়া জেলার একটি বুথ ও মন্দসৌর কেন্দ্রের পাঁচটি বুথে ভোটারেরা ভোট বয়কট করেন। পরে নির্বাচনী আধিকারিকদের অনুরোধে দেওয়াসের বুথে ১২ জন ভোটার ভোট দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন