অক্ষয় কুমার। —ফাইল চিত্র।
ভোট দিতে না যাওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়ছেন। কিন্তু তা নিয়ে প্রশ্ন শুনেই চটলেন অভিনেতা অক্ষয় কুমার। উত্তর দেওয়া তো দূরের কথা, বরং প্রশ্নকর্তা সাংবাদিককেই খেদিয়ে দিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ট্রোলড হলেন অক্ষয়।
মঙ্গলবার মু্ম্বইয়ে ‘ব্ল্যাঙ্ক’ ছবির প্রিমিয়ারে গিয়েছিলেন অক্ষয়। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। ভোট না দেওয়া নিয়ে তাঁকে ঘিরে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করে বসেন এক সাংবাদিক। প্রশ্ন শুনেই চটে ওঠেন তিনি। প্রথমে ওই সাংবাদিককে ভাগিয়ে দেন। তার পর নিজেও রেগে বেরিয়ে যান।
একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সেই ভিডিয়ো সামনে আসতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে অক্ষয়ের ‘অরাজনৈতিক’ সাক্ষাত্কার প্রকাশ করে সংবাদ সংস্থা এএনআই। মঙ্গলবার অক্ষয়ের সাক্ষাত্কার নিতে হাজির হয়েছিল তারাও। কিন্তু সাংবাদিকের উপর অক্ষয়ের চোটপাটের ভিডিয়ো কেন তারা প্রকাশ করল না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন নেটিজেনদের একাংশ।
অক্ষয়ের এই ভিডিয়োই ভাইরাল হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের বিপুল কূটনৈতিক জয়, অবশেষে রাষ্ট্রপুঞ্জের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী তালিকায় মাসুদ
আরও পড়ুন: তেজ বাহাদুরের মনোনয়ন বাতিল করল কমিশন, সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন বারাণসীর এসপি প্রার্থী
অবশ্য এই প্রথম নয়। চতুর্থ দফায় ভোটের দিন মু্ম্বইয়ের বিভিন্ন বুথে ভোট দিতে গিয়েছিলেন শাহরুখ, সলমন-সহ মু্ম্বইয়ের সব তারকাই। ভোট দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ছবিও আপলোড করেছিলেন তাঁরা। এমনকি অক্ষয়ের স্ত্রী টুইঙ্কলও ভোট দেওয়ার পর ছবি দিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু মু্ম্বইয়ের কোনও বুথেই দেখা মেলেনি অক্ষয়ের।
এ ভাবেই অক্ষয়কে আক্রমণ করেন নেটিজেনদের একাংশ।
সে বারও সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন অক্ষয়। প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত্কার নেওয়ার সময় দেশবাসীকে ভোটদানের গুরুত্ব নিয়ে লম্বা-চওড়া বক্তৃতা দিলেও, ব্যক্তিগত জীবনে নিজে তা মেনে চলেন না বলে তাঁকে আক্রমণ করেন অনেকে। কেউ কেউ আবার তাঁর ছবির প্রসঙ্গ টেনে আনেন। ‘এয়ারলিফ্ট’, ‘গোল্ড’,‘টয়লেট-এক প্রেম কথা’ এবং ‘প্যাডম্যান’-এর মতো একের পর এক ছবিতে অভিনয় করে, গত কয়েক বছরে সাধারণ মানুষের কাছে দেশভক্তির পোস্টারবয় হয়ে উঠেছেন অক্ষয়। কিন্তু টাকার জন্য ছবিতে দেশভক্তি ফুটিয়ে তুললেও, বাস্তব জীবনে দেশের প্রতি কোনও দায়িত্ব বোধ তাঁর নেই বলেও কটাক্ষ করেন অনেকে।