অরবিন্দ কেজরীওয়াল।—ফাইল চিত্র।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ঘরের মাঠ দিল্লিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে আম আদমি পার্টি (আপ)।আর সেই লড়াইতে সেনাপতি কেজরীওয়ালই হয়ে উঠবেন প্রচারের মুখ। তাই লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়াবেন না আপ সুপ্রিমো। রবিবারই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন আপ সাংসদ এবং মুখপাত্র সঞ্জয় সিংহ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে আপ মুখপাত্র ও রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ বলেন, “আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না কেজরীওয়াল। এই মুহূর্তে দিল্লিকেই প্রাধান্য দিতে চান তিনি। দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং গোয়ার সমস্ত আসনেই প্রার্থী দাঁড় করাব আমরা। উত্তরপ্রদেশের কিছু আসনেও প্রার্থী দেওয়া হবে। তবে কোথায় কতজন প্রার্থী দেওয়া হবে, সেই সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ফেব্রুয়ারি মাসে। বারাণসী সহ পূর্ব এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কিছু এলাকায় দলের জনপ্রিয়তা রয়েছে। আলাপ- আলোচনার পর সেখানে প্রার্থী দাঁড় করানো হবে।”
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বারাণসী থেকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল। এই হেভিওয়েট লড়াইয়ের দিকে সারা দেশের নজর থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রায় ৩ লক্ষ ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে মোদীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, এ বছর নরেন্দ্র মোদী বারাণসীর বদলে ওড়িশার পুরী থেকে দাঁড়াতে পারেন। এবার লোকসভা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়া নোর কথা জানাল আপ-ও । তাই বারাণসী কেন্দ্রের জৌলুস কমে গেল অনেকটাই। যদিও বারাণসীতে শক্তি শালী প্রার্থী দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন আপ মুখপাত্র।
আরও পড়ুন: এনআরএস হাসপাতাল চত্বরে ১৬ কুকুর শাবকের দেহ উদ্ধার
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে ৭০ হাজার কোটির সাহায্য সৌদির, নজর রাখছে চিন
যদিও কংগ্রেসের সঙ্গে আপের জোট হচ্ছে কিনা তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা জারি রেখেছে আপ। কিছু দিন আগেই কংগ্রেসকে কোনও ভাবেই ভোট না দিতে আর্জি জানিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আপ মুখপাত্র সঞ্জয় সিংহ জানান, “ কেজরীওয়ালের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। এই বার্তা ছিল শুধু মাত্র দিল্লির আসনগুলির ক্ষেত্রে। কারণ দিল্লিতে বিজেপির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আপ-ই। কংগ্রেসকে ভোট দিলে বিরোধী ভোট কাটাকুটির সুবিধা পেয়ে যাবে বিজেপি। সেই প্রেক্ষিতেই কথা বলেছিলেন কেজরীওয়াল।’’
আপ মুখপাত্রের মন্তব্য থেকে পরিষ্কার, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের রাস্তা খোলাই রাখছে কেজরীওয়াল শিবির। গত সপ্তাহেই কট্টর কেজরীওয়াল বিরোধী অজয় মাকেনকে সরিয়ে দিল্লি কংগ্রেসের প্রধান পদে শীলা দীক্ষিতকে বসিয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। আপের সঙ্গে বোঝাপড়া তৈরির উদ্দেশ্যেই ছিল এই রদবদল, এমনটাই মনে করছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাই আপ-কংগ্রেস সমঝোতার একটা ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে দুই শিবিরের তরফেই, রাজনৈতিক মহলের জল্পনা এরকমই।