এনআরএস চত্বরে পাওয়া ১৬টি কুকুর শাবকের দেহ।—নিজস্ব চিত্র।
এক সঙ্গে ষোলটি পথ কুকুরের শাবকের দেহ পাওয়া গেল নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতাল চত্বরে বসবাসকারী হাসপাতাল কর্মীদের অভিযোগ বিষ খাইয়ে মেরে দেওয়া হয়েছে ওই শাবকদের।
রবিবার দুপুর বেলায় কয়েক সপ্তাহ বয়সের এই কুকুর শাবকদের দেহ দেখতে পান এক হাসপাতাল কর্মীর স্ত্রী পুতুল রায়। তিনি বলেন, “দুপুর দু’টো নাগাদ যাচ্ছিলাম। হাসপাতালের যে রাস্তাটি নার্সিং হস্টেলের পাশ দিয়ে গিয়েছে সেখানেই দেখি বড় বড় কয়েকটা কালো প্লাস্টিকের প্যাকেট পড়ে রয়েছে।” পুতুল দেখতে পান একটি প্যাকেটের মুখটা একটু খোলা। ভিতরে একটি কুকুর শাবকের দেহ। তিনি কৌতুহলী হয়ে বাকি প্যাকেট গুলির মুখ খুলতেই বেরিয়ে আসে একের পর এক শাবকের দেহ।
হাসপাতাল চত্বরে থাকা হাসপাতাল কর্মীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন একাধিক পশু প্রেমী সংগঠনের সদস্যরা। অনিতা দাস বসাক এ রকমই একজন পশু প্রেমী। তিনি বলেন, হাসপাতালে মেডিক্যাল বর্জ্য ফেলার জন্য যে ধরনের কালো প্লাস্টিকের থলি ব্যাবহার করা হয় ঠিক সেরকম থলিতে ভরেই ওই শাবকদের দেহ ফেলা হয়েছিল। পায়েল গুহ নামে অন্য এক পশু প্রেমী বলেন, “প্রাথমিক ভাবে দেখে মনে হচ্ছে বিষ খাইয়ে মেরে দেওয়া হয়েছে শাবকগুলিকে। একটি মাত্র শাবক বেঁচে গিয়েছে।”
তিনি দাবি করেন, হাসপাতালের ভিতরের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। পুতুল সহ হাসপাতাল কর্মীদের একাংশের সন্দেহ, নার্সিং হস্টেলের বাসিন্দারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। রবিবার বিকালে নার্সিং হস্টেলের দায়িত্বে থাকা অন্যতম মেট্রন শওকত-আরা বেগম যদিও এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। একই ভাবে অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেননি হস্টেলের সুপারিনটেনডেন্ট মণীষা ঘোষ।
অভিযোগ বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে শাবকগুলিকে।—নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: রাজকুমার হিরানির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ
একমাত্র জীবিত শাবক।—নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে ৭০ হাজার কোটির সাহায্য সৌদির, নজর রাখছে চিন
এ দিন বিকালেই পশু প্রেমী সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয় এন্টালি থানায়। পুলিশ পুরসভাকে সঙ্গে নিয়ে দেহগুলি তুলে নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বারাসতে পশু হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠানো হবে মৃত শাবকদের দেহ গুলি। খতিয়ে দেখা হবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যাতে কে বা কারা ওই ব্যাগ গুলি ফেলল তা চিহ্নিত করা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy