সাত বছর বয়সি এক বালিকার শ্বাসনালিতে আটকে থাকা সুচালো পিন এক ঘণ্টার মধ্যে বার করে দিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পিনটি বার করা হয়েছে। আপাতত শিশুর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে সময়ে পিন বার করা না-গেলে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারত।
হাওড়ার শিবপুরের বাসিন্দা ওই শিশু বৃহস্পতিবার দুপুরে খেলতে খেলতে কোনও ভাবে সুচালো পিন খেয়ে ফেলে। পিনটি প্রায় সাড়ে তিন সেন্টিমিটার লম্বা। গিলে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় কাশি। বাবা-মাকে পুরো বিষয়টি জানালে শিশুকে নিয়ে তাঁরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চলে আসেন। সেখানে ইএনটি বিভাগে শিশুকে ভর্তি করানো হয়। কাশির সঙ্গে সঙ্গে বুকে ব্যথাও শুরু হয়েছিল বালিকার।
আরও পড়ুন:
চিকিৎসকেরা এক্স রে করে দেখেন, শ্বাসনালিতে পিনের মতো সরু লোহার কিছু আটকে রয়েছে। দ্রুত অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পিন বার করা হয় ব্রঙ্কোস্কোপির মাধ্যমে। গোটা প্রক্রিয়ায় ঘণ্টাখানেক সময় লেগেছিল।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইএনটি বিভাগের এজ়রা বিল্ডিংয়ে চিকিৎসাধীন ওই শিশু। তার অস্ত্রোপচারের জন্য চিকিৎসকদের যে দলটি গঠন করা হয়েছিল, তাতে ছিলেন চিকিৎসক দীপ্তাংশু মুখোপাধ্যায়, চিকিৎসক শুভজিৎ মুখোপাধ্যায়, চিকিৎসক সোমদত্তা ঘান্টি এবং অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের রবীন্দ্র মণ্ডল ও সুমিত গোস্বামী। দীপ্তাংশু জানিয়েছেন, পিনটি বার করতে বেশি দেরি হলে তা ফুসফুসের গভীরে গিয়ে বিপদ ঘটাতে পারত। তখন পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠত।