‘বাংলায় খুন হচ্ছেন কর্মীরা’, সরব মোদী

ওড়িশার সুন্দরগড়, সোনপুর ও ছত্তীসগঢ়ের বালোদে জনসভা করেন মোদী। তিনটি সভাতেই সন্ত্রাস প্রশ্ন, আফস্পা, দুর্নীতি-সহ নানা বিষয় নিয়ে তোপ দেগেছেন বিরোধীদের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রায়পুর ও ভুবনেশ্বর শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:১৬
Share:

ওড়িশায় প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি পিটিআই।

ওড়িশায় প্রচারে গিয়েও পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দাবি করলেন, পশ্চিমবঙ্গে প্রতি দিন বিজেপি কর্মীরা খুন হচ্ছেন।

Advertisement

আজ ওড়িশার সুন্দরগড়, সোনপুর ও ছত্তীসগঢ়ের বালোদে জনসভা করেন মোদী। তিনটি সভাতেই সন্ত্রাস প্রশ্ন, আফস্পা, দুর্নীতি-সহ নানা বিষয় নিয়ে তোপ দেগেছেন বিরোধীদের। সুন্দরগড়ের সভায় তিনি বলেন, ‘‘অনেক দল পরিবার ও অর্থের জোরে তৈরি হয়। বিজেপির শক্তি দলের কর্মীরা। পশ্চিমবঙ্গে প্রতি দিন বিজেপি কর্মীরা খুন হচ্ছেন। সন্ত্রাস কবলিত রাজ্যগুলিতে বিজেপি কর্মীদের খুন করা হচ্ছে। কিন্তু তাও তাঁরা দলের ঝান্ডা ও ভারত মাতা কি জয় স্লোগান সম্বল করে লড়াই চালাচ্ছেন।’’ এ রাজ্যের সন্ত্রাস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের জবাবে তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী কোনওদিনই সত্য কথা বলেননি। বাংলা-ভীতিতে উনি ভুগছেন। বাংলায় পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই আবার সন্ত্রাসের নতুন মিথ্যে বলছেন। বিজেপির কর্মী কোথায়, আছে তো এখানে বিজেপির দু’চার জন দুষ্কৃতী। বিজেপির হাতে তৃণমূলই তো আক্রান্ত হচ্ছে।’’

মোদীর দাবি, বিজেপি সরকার গড়লে জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা শাস্তি পাবে। অন্য দিকে কংগ্রেস ও তাদের জোট শরিকেরা জঙ্গিদের সুবিধে করে দিতে চাইছে। এই প্রসঙ্গে আফস্পা বা সামরিক বাহিনী বিশেষ ক্ষমতা আইন নিয়ে কংগ্রেসকে ফের খোঁচা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘চৌকিদার ক্ষমতায় থাকলে জঙ্গি হামলার পরে সার্জিকাল স্ট্রাইক ও বায়ুসেনা অভিযান হয়। গোটা বিশ্ব ভারতের পাশে দাঁড়ায়।’’ মোদীর কথায়, ‘‘আফস্পা বাহিনীর সুরক্ষা কবচ। সেই আইন পুনর্বিবেচনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কংগ্রেস জঙ্গি-বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সুবিধে করে দিতে চাইছে।’’

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর মতে, কংগ্রেস সব সময়েই দারিদ্রকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। তাই দারিদ্র দূর করতে গেলে এই দলটিকেই প্রত্যাখ্যান করতে হবে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কংগ্রেসকে সরাতে পারলেই দারিদ্র দূর হয়ে যাবে। চৌকিদারের সরকার আর অসৎ নেতাদের মিছিলের মধ্যে মানুষ কোনটা চান, সেই সিদ্ধান্ত তাঁদেরই নিতে হবে।’’

ওড়িশায় নবীন পট্টনায়ক সরকারেরও সমালোচনা করেছেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘বিজেডি-র উপযুক্ত নীতি ও উপযুক্ত মানসিকতা (সহি নীতি অউর সহি নিয়ত) নেই। নবীনবাবুর আগে ওড়িশায় ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। তখনও সম্পদশালী রাজ্য ওড়িশায় উন্নয়ন হয়নি। তাই এ বার ওড়িশার মানুষ কংগ্রেস-বিজেডিকে প্রত্যাখ্যান করবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন