শীলা দীক্ষিত
দিল্লিতে ‘আম আদমি পার্টি’র (আপ) সঙ্গে জোট হবে কি না, তা এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেনি কংগ্রেস। তবে রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি দেখে অনেকেই মনে করছেন, দিল্লিতে ‘একলা চলো’ নীতি নিতে পারে রাহুল গাঁধীর দল। সূত্রের খবর, গত কাল রাতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শীলা দীক্ষিতের সঙ্গে প্রার্থী তালিকা নিয়ে বৈঠক করেছেন পি সি চাকো এবং কে সি বেণুগোপাল।
আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল আগেই জানিয়েছিলেন, লোকসভা নির্বাচনে তাঁরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে প্রস্তুত। কিন্তু কংগ্রেসের অন্দরেই আপের সঙ্গে জোট নিয়ে মতান্তর রয়েছে। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা চিঠি লিখে রাহুল এবং সনিয়া গাঁধীকে জানিয়েছিলেন, আপের সঙ্গে নির্বাচনী আঁতাঁত করলে ভবিষ্যতে দলের ক্ষতি হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে এখনও কংগ্রেস আনুষ্ঠানিক ভাবে জোটের বিষয়ে কিছু ঘোষণা করেনি। সূত্রের খবর, গত কাল শীলার বাসভবনে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন চাকো এবং বেণুগোপাল। ওই বৈঠক শেষ হয় মধ্যরাত পার করে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে দিল্লির সাতটি লোকসভা আসনের প্রার্থী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। শীলা আজ সকালে বলেন, ‘‘আজ বা আগামিকাল আপনারা সব জানতে পারবেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে জোটের বিষয় সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’’
প্রসঙ্গত, আপ চেয়েছিল দিল্লি, পঞ্জাব এবং হরিয়ানায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে। কেজরীবাল বলেছিলেন, ‘‘দেশবাসী চান নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের হারাতে। হরিয়ানায় যদি জেজেপি, আপ, কংগ্রেস জোট হয়, তা হলে বিজেপি অন্তত ১০টি আসনে হারবে।’’ সূত্রের খবর, আপ দিল্লিতে কংগ্রেসকে মাত্র একটি আসন ছাড়তে রাজি ছিল। কিন্তু রাহুলের দল চেয়েছিল, সাতটি আসনের মধ্যে অন্তত তিনটি। একাধিক বিরোধী নেতাও চেয়েছিলেন, দিল্লিতে কংগ্রেস-আপ জোট হোক। এ ব্যাপারে রাহুল এবং আপ নেতা সঞ্জয় সিংহের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। কিন্তু জোটের সম্ভাবনা এখনও অধরাই।