রবিবার গুরুগ্রামের একটি অনুষ্ঠানে রোহিত শর্মা। ছবি: পিটিআই।
দু’বছর আগে এক দিনের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ভারতের। ওই ম্যাচের পরেই ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন রোহিত শর্মা। কিছু দিন ভাবার পর একটি কারণে সিদ্ধান্ত বদল করেন। শেষ পর্যন্ত কাজে লেগেছিল সেই ভাবনা।
দেশের মাটিতে বিশ্বকাপে টানা ১০টি ম্যাচে জিতেও ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারে ভারত। ট্রেভিস হেডের ইনিংস হারিয়ে দেয় তাদের। সম্প্রতি গুরুগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রোহিত বলেছেন, “ওই ম্যাচের পর সকলেই খুব হতাশ হয়ে পড়েছিল। যা হয়েছিল বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে খুব কঠিন সময় ছিল। প্রতিযোগিতার দু’-তিন মাস আগে থেকে নয়, ২০২২-এ অধিনায়ক হওয়ার পর থেকেই বিশ্বকাপকে পাখির চোখ করেছিলাম।”
ফাইনালে ওই হার মেনে নিতে পারেননি রোহিত। খেলা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। রোহিতের কথায়, “আমার একমাত্র লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপ জেতা। সেটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হোক বা ৫০ ওভারের। সেটা না হওয়ায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম। শরীরে আর কোনও শক্তি বেঁচে ছিল না। দু’মাস লেগেছিল ধাক্কা থেকে ফিরে আসতে।”
কয়েক মাস পরেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছিল। সেই বিশ্বকাপের কথা ভেবেই অবসর নেননি রোহিত। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ জিতে তাঁর স্বপ্নও পূরণ হয়। রোহিত বলেছেন, “কোনও কাজে অনেক সময় বিনিয়োগ করার পরেও ফলাফল না পেলে খুব হতাশ লাগে। আমার সঙ্গেও সেটাই হয়েছিল। তবে এটাও জানতাম, জীবন শেষ হয়নি। কী ভাবে হতাশা কাটিয়ে আবার ফিরে আসতে হয় সেই শিক্ষা পেয়েছিলাম।”
রোহিতের সংযোজন, “জানতাম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসছে। আমাকে সব মনোযোগ ওখানেই দিতে হবে। এখন বলতে সহজ লাগছে। তখন বিষয়টা খুবই কঠিন ছিল। একটা সময় মনে হয়েছিল আর খেলে দরকার নেই। নিজের সর্বস্ব নিংড়ে দিয়েছি। কিছুই বেঁচে নেই। অনেকটা সময়, শক্তি এবং চিন্তাভাবনার পর ফিরতে পেরেছি। নিজেকে মনে করিয়েছি, যা ভালবাসি সেটা হাতের সামনেই রয়েছে। এত সহজে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।”