পাঁচ বছর আগে লোকসভা ভোটের সময় নরেন্দ্র মোদী নিজেকে ওবিসি হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। এ বার সেই ভোটব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়েই ২০১৯-এর আগে রাহুল গাঁধী ঘোষণা করলেন, কংগ্রেস দলে ও কংগ্রেসের সাংসদ-বিধায়কদের মধ্যে ওবিসি-র সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। আজ দিল্লিতে দলের ওবিসি শাখার জাতীয় সম্মেলনে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘‘আগামী দিনে ওবিসি শ্রেণি থেকে আরও অনেককে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে।’’
এই মুহূর্তে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত ও ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ওবিসি নেতা। আজ রাহুল বলেন, ‘‘আমি ওবিসি শ্রেণিকে গ্যারান্টি দিচ্ছি যে আগামী দিনে কংগ্রেস আপনাদের অনেক বেশি জায়গা দেবে। আজ আপনারা দু’জন ওবিসি মুখ্যমন্ত্রী দেখছেন। ভবিষ্যতে আরও মুখ্যমন্ত্রী দেখবেন। আরও মন্ত্রী দেখবেন। আরও ওবিসি সাংসদ-বিধায়কও দেখবেন।’’ ওবিসি-দের পাশাপাশি দলিতদেরও কংগ্রেস জায়গা করে দেবে বলে রাহুলের দাবি।
রাহুলের বক্তব্য, ওবিসি-দের জন্য রোজগারেরও বন্দোবস্ত করতে হবে। আজ আরও একটি কংগ্রেস ইস্তাহারের প্রতিশ্রুতি আগাম ঘোষণা করেন রাহুল গাঁধী। তা হল, তরুণদের ব্যবসা শুরুর জন্য কোনও অনুমতি নিতে হবে না। কাজ শুরু করার তিন বছর পরে অনুমতি নিলেও চলবে। কংগ্রেসের ইস্তাহারে এই কথা থাকবে। রাহুল বলেন, ওবিসি-দের জন্য বিপুল কর্মসংস্থানেরও বন্দোবস্ত করতে হবে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ন্যূনতম আয় যোজনা বা ন্যায়-এর সঙ্গে একেও সামাজিক ন্যায় হিসেবে তুলে ধরেছেন রাহুল। মোদীকে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘নরেন্দ্র মোদী যদি অন্যায় করতে পারেন, কংগ্রেস ন্যায় করতে পারে। মোদীজি সবাইকে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। দেশের ২০ শতাংশ পরিবারকে বছরে ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হবে।’’
রাজনীতিকদের বক্তব্য, ওবিসি ভোটারদের মন জয়ের জন্য বিজেপির মতো কংগ্রেসের এই প্রচেষ্টার কারণ ওবিসি-দের বিপুল জনসংখ্যা। ২০০৭-এর এনএসএসও-র সমীক্ষা বলেছিল, দেশে ওবিসি জনসংখ্যার প্রায় ৪১ শতাংশ। তা আরও বেড়েছে। মোদী এই বিপুল ভোটব্যাঙ্কের কাছে পৌঁছতেই নিজের ওবিসি পরিচয় কাজে লাগিয়েছিলেন। এখন কংগ্রেসও সেই চেষ্টা করছে।