হার্দিক পটেল। ফাইল চিত্র।
শাস্তি রদের আবেদনে সাড়া দিল না গুজরাত হাইকোর্ট। ফলে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা পারবেন না পাতিদার নেতা হার্দিক পটেল।
২০১৫-য় গুজরাতে পাতিদার আন্দোলনের সময় ভিসনগরে দাঙ্গা লাগানোর অভিযোগ ওঠে হার্দিকের বিরুদ্ধে। গত বছর জুলাইয়ে সেই মামলায় আদালত তাঁকে দু’বছরের কারাদণ্ডও দেয়। তবে এত দিন তিনি জামিনে ছিলেন। গত বছরের অগস্টে তাঁর কারাদণ্ড কার্যকর হওয়া স্থগিত রেখেছিল হাইকোর্ট। তবে তাঁকে বেকসুর ঘোষণা করেনি। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্ত কোনও ব্যাক্তি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সপ্তাহ দুয়েক আগেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন হার্দিক। জামনগর থেকে লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশও করেছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। লড়াই করার প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে সেই সময়ই হাইকোর্টের এমন সিদ্ধান্তে হার্দিক তো বটেই, বড়সড় ধাক্কা খেল কংগ্রেসও।
জনপ্রতিনিধিত্ব আইন এবং সেই সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশ অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত কোনও ব্যক্তি নির্বাচনে লড়তে পারবেন না। গুজরাতের পাতিদার আন্দোলনে দাঙ্গার মামলায় হার্দিকের শাস্তি বহাল রয়েছে। শুধুমাত্র তা কার্যকর করা হওয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শাস্তি রদের জন্য গত ৮ মার্চ হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন হার্দিক। বিজেপি এর বিরোধিতা করেছিল। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, হার্দিকের শাস্তি রদ করা সম্ভব নয়।
গুজরাতে পাতিদার ভোটকে নিজেদের দিকে টানার চেষ্টায় ছিল কংগ্রেস। হার্দিক কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় সেই রাস্তা অনেকটাই প্রশস্ত হয়। কিন্তু নির্বাচনের আগে হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তে চরম অস্বস্তিতে পড়ল কংগ্রেস, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আরও পড়ুন: বাংলায় এনআরসি আনব, খুঁজে খুঁজে তাড়াব অনুপ্রবেশকারীদের, হুঙ্কার অমিত শাহের