প্রতীকী ছবি।
দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে সমঝোতা করা নিয়ে নিজের দলের নেতাদের সঙ্গেই ফের বৈঠকে বসলেন রাহুল গাঁধী। কিন্তু এ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত দিল্লি কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার রাহুলের হাতেই ছেড়ে দিল। কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাহুল আপকে জোট নিয়ে কয়েকটি সূত্র দিয়েছেন।
আজ কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের আগে শীলা দীক্ষিত, অজয় মাকেনদের নিজের বাড়িতে ডাকেন রাহুল। আম আদমি পার্টির সঙ্গে সমঝোতার ব্যাপারে আলোচনা হয় সেখানে। শীলা আপের সঙ্গে কোনও রকম সমঝোতার ঘোর বিরোধী। আবার মাকেনরা চান, জোট হোক। এমনকি দিল্লির দায়িত্বে থাকা এআইসিসি নেতা পি সি চাকোও জোটের পক্ষে। ফলে যে ১১ জন নেতাকে আজ রাহুল ডেকেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৬ জন জোটের বিপক্ষে রায় দেন, বাকি ৫ জন জোটের পক্ষে। চাকো আবার ১৪ জন জেলা সভাপতির চিঠিও রাহুলকে দেন, যাঁরা আপের সঙ্গে জোট চান।
দলের মধ্যে কোনও ঐকমত্য না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত রাহুলের হাতেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হয়। আপের সঙ্গে জোটের বিষয়ে রাহুল আজ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে দলীয় সূত্রের মতে, আপ যে ভাবে পঞ্জাব ও হরিয়ানাতেও জোটের কথা বলছে, তা একেবারেই সম্ভব নয়। যদি সমঝোতা হয়, তা হলে শুধু দিল্লি নিয়েই হবে। আপের নেতারা অবশ্য আজ ফের বলেন, জোটের জন্য অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেসের যাঁরা জোটের পক্ষে, তাঁরা মনে করেন জোট না হলে বিজেপিরই ফায়দা। আবার শীলাদের মতে, আপের সঙ্গে জোট করার থেকে ভবিষ্যতের জন্য দলকে শক্তিশালী করা ভাল।