রবিবার মথুরার সভায় ধর্মেন্দ্র-হেমা। ছবি: পিটিআই।
‘বীরু’ ট্যাঙ্কি-তে চড়ল বলে! ‘সুসাইড’ করার কথা এখনও বলেনি। তবে শুনিয়ে দিয়েছে, সে আবার জলের ট্যাঙ্কে তো চড়বেই, ‘মৌসি’-দেরও ডেকে আনবে। যদি...
যদি গাঁয়ের লোকেরা তার বসন্তীকে ভোট না-দেয়!
রামগড় নয় তো কী! বীরুর বয়স এখন ৮৩ তো কী! এবং শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান বলে খ্যাত শহরে প্রেমের ‘শোলে’ যে অক্ষয় হবে, তাতেই বা আশ্চর্য কী!
ধর্মেন্দ্র সিংহ দেওল তাই স্ত্রী হেমা মালিনীর জন্য ভোট চাইতে বিন্দুমাত্র সঙ্কোচ করেননি। সিনেমার বীরু হয়ে ভরপুর দ্রবীভূত অবস্থায় জলের ট্যাঙ্কে চড়ে ঘোষণা করেছিলেন, বসন্তীর সঙ্গে তাঁর বিয়েতে বসন্তীর মাসি বাধা দিলে মজনুর মতো, রোমিয়োর মতো জান দিয়ে দেবেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
‘শোলে’-র সেট থেকেই ওঁদের সিনেমার প্রেম বাস্তবের ফুল হয়ে ফুটেছিল। ‘বসন্তী’ হেমা এখন লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী। আর মথুরায় আজ তাঁর নির্বাচনী সভায় গিয়ে চটজলদি বীরু অবতারে ফিরে মোক্ষম তির মারলেন ধর্মেন্দ্র। বললেন, ‘‘গাঁওওয়ালো, হেমাজিকে লিয়ে ভোট করনা। নহি তো কিসি আস-পাস কি ট্যাঙ্কি পে চড় জাউঙ্গা অওর উঁয়াহা সে মৌসি কো পুকারুঙ্গা। বহুত মৌসিয়া আ জায়েঙ্গি!’’ অর্থাৎ সিনেমার ‘শত্রু’ যে মাসি, রুক্ষ বাস্তবের ভোটের জন্য তাঁর সঙ্গেও দোস্তি কবুল! ধূসর হ্যাট পরা বীরুর ডায়লগ শুনে হাততালি উঠল চটপট। (হয়তো) আশ্বস্ত হলেন হেমাও। এ বারের প্রচারপর্বের গোড়া থেকেই তাল কাটছিল। কৃষক রমণীদের সঙ্গে হেমা কাস্তে হাতে গম কাটতে নেমেছেন কিংবা স্টিয়ারিং ধরেছেন ট্রাক্টরে— পত্রপাঠ ‘ভোটের নাটক’ বলে শোরগোল তুলেছে বিরোধী শিবির। ১৮ তারিখের ভোটের আগে অস্বস্তি বাড়ছিল বসন্তীর। এমন সময়েই ‘ধরমজি’ এলেন। আজ সকালে নিজের আর স্বামীর ছবি টুইট করে হেমা লেখেন, ‘‘আজ বিশেষ একটা দিন। ধরমজি সারা দিন আমার সঙ্গে প্রচার করবেন। লোকে ওঁর কথা শুনবে বলে মুখিয়ে আছে।’’ পরে সাংবাদিকদেরও বলেছেন, ‘‘আমরা মথুরার উন্নয়নের জন্য ভোট চাইছি। গত পাঁচ বছরে আড়াইশো বারেরও বেশি এসেছি এখানে।’’
সংসদীয় রাজনীতিতে আনকোরা নন ধর্মেন্দ্রও। ২০০৪ সালে বিকানের থেকে বিজেপির টিকিটে লড়ে সাংসদ হয়েছিলেন। আজ মূলত জাঠ শ্রোতাদের সভায় তিনি শুনিয়েছেন এক চাষির ছেলের বলিউডের নায়ক হওয়ার গল্প। বীরু-বসন্তী হাজির। এখন ‘জয়’ আসে কি না, সেটাই দেখার।