ভোট মরসুমে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার নিয়ে ফি দিন কমিশনের কাছে অভিযোগ আনছে রাজনৈতিক দলগুলি।
নির্বাচনের দিন ঘোষণা থেকে যে ভাবে আচরণবিধি মানতে বাধ্য রাজনৈতিক দলগুলি, সে ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার জন্যও পৃথক আচরণবিধির পক্ষে সওয়াল করল নির্বাচন কমিশন। যা মানতে বাধ্য থাকবে রাজনৈতিক দলগুলি।
শুরু থেকেই ভোট প্রচারের ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার যাতে একটি নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে থাকে, তার জন্য তৎপর রয়েছে নির্বাচন কমিশন। সাইবার মাধ্যম নিয়ে সরকারি দফতরগুলিকে আলাদা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নানান পোস্ট সরানো হয়েছে। ভোট প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার খতিয়ে দেখার জন্য রাখা হয়েছে আলাদা পর্যবেক্ষক। তা সত্ত্বেও ভোট মরসুমে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার নিয়ে ফি দিন কমিশনের কাছে অভিযোগ আনছে দলগুলি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি কী ভাবে করা যায়, তা ঠিক করতে আজ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, গুগ্লের মতো একাধিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। ছিলেন ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোশিয়েসন-এর প্রতিনিধিরাও।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ভোটের সময়ে প্রার্থীরা ঠিক কী ভাবে প্রচার করতে পারেন, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশ রয়েছে কমিশনের। রয়েছে বেশ কিছু বাধানিষেধ। সে ভাবেই সোশ্যাল মিডিয়াতে কী ভাবে কোনও প্রার্থী বা দলের নির্বাচনী প্রচার চালানো উচিত, তার একটি নির্দেশিকা বানাতে ওই সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। যা জমা দিতে হবে আগামিকালের মধ্যেই। সুনীল বৈঠকে বলেন, ‘‘ভবিষ্যতের কথা ভেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কিছু আদর্শ আচরণবিধি চালু করতে হবে, যা প্রার্থীরা মেনে চলতে বাধ্য হবেন।’’ যারা মানবেন না, তাদের ক্ষেত্রে কী ভাবে শাস্তি দেওয়া সম্ভব, তা-ও খতিয়ে দেখছে কমিশন। একই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে কোনও প্রার্থী কত টাকা খরচ করছেন, তা কমিশনকে আলাদা করে জানাতে রাজি হয়েছে সংস্থাগুলি।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও প্রার্থীর হলফনামায় খরচের হিসেব ও সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়া হিসেব মিলিয়ে দেখা হবে। হিসেব না মিললে ব্যবস্থা নেবে কমিশন।