—ফাইল চত্র
দ্রুত পদক্ষেপ। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন এই পথেই বিধিভঙ্গের অভিযোগে রাশ টানতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
এ বার ভোটে উত্তেজনার পারদ অতীতের সব কিছুকে পিছনে ফেলতে পারে বলে মনে করেছেন অনেকে। যুযুধান প্রতিপক্ষের একে অপরের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ, প্ররোচনামূলক বক্তব্য, নির্দিষ্ট সময়ের পরেও ভোটপ্রচার ইত্যাদি বহু বিষয় নির্বাচনী বিধির আওতাধীন। কমিশন চায়, বিধিভঙ্গ চোখে পড়লেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করুন দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারেরা। এক কর্তার কথায়, ‘‘নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠলেই সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হবে। আর এ ক্ষেত্রে রিটার্নিং অফিসারদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হতে চলেছে।’’ সূত্রের বক্তব্য, শুরুতেই অভিযোগ দায়ের হলে ভবিষ্যতে বিধিভঙ্গের ঘটনা কমবে।
অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক শিবিরের ‘বড়’ নাম নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নিতে সময় নেন অনেক রির্টানিং অফিসার। অভিযোগ, ঘটনার ভিডিয়ো দেখে, বিশ্লেষণ করে দেখার কথা বলে সময় নষ্ট করেন তাঁদের অনেকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ‘রাজরোষ’-এ পড়ার ভয়ে পদক্ষেপ করতে গড়িমসি করার অভিযোগ ওঠে রিটার্নিং অফিসারদের বিরুদ্ধে। তখন পদক্ষেপ কার হবে কি না, সে ব্যাপারে কমিশনের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকেন তাঁরা।
এই পরিস্থিতিরই বদল চায় কমিশন। সেই কারণেই রিটার্নিং অফিসারদের ‘স্বাধীনতা’ দিয়ে দ্রুত এফআইআর দায়েরর পথে হাঁটতে চায় তারা। কমিশন কর্তাদের দাবি, এখন থেকে প্রভাবশালী বা তুলনামূলক কম প্রভাবশালী— সকলের ক্ষেত্রেই সমান পদক্ষেপ করা হবে।