হার্দিকের ভোটে লড়া আটকাল হাইকোর্ট

সপ্তাহ দুয়েক আগেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন হার্দিক। ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছিলেন, গুজরাতের জামনগর কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়াতে চান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৯ ০৪:২৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

আসন্ন লোকসভা ভোটে লড়ার পথ কঠিন হয়ে গেল হার্দিক পটেলের। ২০১৫-য় গুজরাতে দাঙ্গা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল পাটিদার আন্দোলনের এই নেতার বিরুদ্ধে। আজ তাঁর শাস্তি রদের আর্জিতে সাড়া দিল না গুজরাত হাইকোর্ট। তাই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে আটকে গেলেন তরুণ নেতা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে ছাড়পত্র মেলা কঠিন।

Advertisement

সপ্তাহ দুয়েক আগেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন হার্দিক। ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছিলেন, গুজরাতের জামনগর কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়াতে চান। সেই মতো আটঘাটও বাঁধছিলেন। কিন্তু আজ আদালত বেঁকে বসায় রাজনীতিকেরা মনে করছেন, গুজরাতে ভোটের ঠিক মুখে বড় ধাক্কা খেল কংগ্রেসও। হার্দিক নিজে অবশ্য তা মানতে নারাজ। ভোটে না দাঁড়াতে পারলেও বিজেপির বিরুদ্ধে এবং কংগ্রেসের হয়ে দেশ জুড়ে প্রচারে ঝাঁপাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘বিজেপির কাছে কখনও মাথা নোয়াইনি— এটাই আমার দোষ। কিন্তু এ ভাবে আমাকে দমিয়ে রাখা যাবে না। কংগ্রেসই যাতে এ বার সরকার গড়ে, সে জন্য সর্বস্ব দিয়ে ঝাঁপাবো।’’

পাটিদার সংরক্ষণ আন্দোলনকে ঘিরে বছর চারেক আগেকার ওই মামলায় গত বছর জুলাইয়ে দোষী সাব্যস্ত হন হার্দিক। দু’বছরের জেল হয় তাঁর। জামিন পান গত বছর অগস্টে। তাঁর কারাদণ্ড কার্যকর হওয়া স্থগিত রেখেছিল গুজরাত হাইকোর্ট। কিন্তু তাঁকে বেকসুর ঘোষণা করা হয়নি। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন এবং সেই সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্ত কেউ ভোটে লড়তে পারবেন না। তাই গত ৮ মার্চ হার্দিক শাস্তি রদের আবেদন জানিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন। বিজেপি গোড়া থেকেই এর বিরোধিতা করছিল। হার্দিকের আর্জিতে আজ সাড়া দিল না গুজরাত হাইকোর্টও।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

২০১৭-য় গুজরাত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের তুলনামূলক ভাল ফলের পিছনে এই পাটিদার নেতার বড় ভূমিকা ছিল বলে মত রাজনীতিকদের। এ বার হার্দিক নিজেই জামনগরের বিজেপি প্রার্থী পুনমবেনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement