হার্দিক পটেল। —ফাইল চিত্র।
আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসে যোগ দিলেন গুজরাতের পাতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক পটেল। কংগ্রেসের জনসভায় উত্তরীয় পরিয়ে হার্দিককে দলে নেন রাহুল গাঁধী। গাঁধীনগরের কাছে আদালাজ গ্রামে কংগ্রেসের সভামঞ্চ থেকে বক্তৃতাও করেন হার্দিক। সভায় উপস্থিত শ্রোতাদের প্রশ্ন করেন, তাঁর কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক কি না! প্রত্যাশিত ভাবে শ্রোতারা সম্মতিই জানিয়েছেন। এর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে হার্দিক বলেন, ‘‘পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলার পর কংগ্রেস গুজরাতে ২৮ ফেব্রুয়ারির সভা বাতিল করেছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দেশ জুড়ে সভা-সমাবেশ করে গিয়েছেন।’’
রাহুলকে ‘সৎ নেতা’ বলে উল্লেখ করে ২৫ বছর বয়সি হার্দিক বলেন, ‘‘লোকজন জানতে চান, কেন আমি কংগ্রেসে যোগ দিলাম। রাহুল গাঁধীর দলে যোগ দিয়েছি, কারণ তিনি এক জন সৎ নেতা। তিনি স্বৈরাচারির মতো কাজে বিশ্বাস করেন না।’’ দেশ এবং সমাজসেবার জন্যই তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তিনি যে আসন্ন ভোটে লড়তেও রাজি তা-ও জানান হার্দিক। তাঁর কথায়, ‘‘যদি কোনও আইনি বাধা না-থাকে এবং দল ভোটে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেয়, আমি তা মেনে চলব।’’ কংগ্রেস সূত্রের খবর, হার্দিক জামনগর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি-বিরোধী প্রচারে শামিল হয়েছিলেন হার্দিক।
কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী প্রশ্ন তোলেন, ‘‘এর আগে বিজেপি সরকার পাতিদার সংরক্ষণ প্রশ্নে যে যে প্রস্তাব দিয়েছিল, তাকে হার্দিক বলতেন ললিপপ। কংগ্রেস এখন কোন ললিপপ দিয়েছে তাঁকে। এটা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা।’’