ছবি: পিটিআই।
প্রচারের শেষলগ্নে রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে উত্তাপ বাড়ল কেরলে। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউডিএফের সঙ্গে সিপিএমের নেতৃত্বে এলডিএফের কর্মী-সমর্থকদের গোলমালের জেরে চলল পুলিশের লাঠি, কাঁদানে গ্যাস। আবার কোথাও সংঘর্ষে জড়ালেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। খাস রাজধানী তিরুঅনন্তপুরমে ক্ষুব্ধ জনতার বাধা ও গোলমালে থামিয়ে দিতে হল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যান্টনির রোড-শো। ঝুঁকি না নিয়ে, রবিবার বিকাল থেকেই কান্নুরের ভাডাকারা লোকসভা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
রাজ্যের ২০টি লোকসভা আসনে ভোট নেওয়া হবে মঙ্গলবার। প্রচারের শেষ দিনে সব দলের বেশির ভাগ প্রার্থী বেছে নিয়েছিলেন নিজেদের কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রোড-শো’কে। সেই কর্মসূচির মধ্যেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর এসেছে উত্তর কেরলের কাসারগোড, কান্নুর, ভাডাকারা, মধ্য কেরলের এর্নাকুলম, তিরুবাল্লা বা দক্ষিণ কেরলের পাতানামতিট্টা, তিরুঅনন্তপুরমের মতো নানা এলাকা থেকে।
ভাডাকারায় লাঠি এবং কাসারগোডে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা করেছে পুলিশ। কান্নুরের জেলাশাসক তথা জেলার রিটার্নিং অফিসার শ্রীরাম সম্বাশিব রাও জানিয়েছেন, ভাডাকারায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। প্রচার বিকাল ৫টায় শেষ হয়ে গেলেও পরবর্তী আদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা থাকবে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে শনিবার আটকে গেলেও এ দিন সকালে দিল্লি ফিরে যাওয়ার আগে পুলওয়ামায় জঙ্গি হানায় নিহত সিআরপিএফ জওয়ান ভি ভি বসন্তকুমারের বাড়ি গিয়েছিলেন এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা।
তাঁর দাদা রাহুল গাঁধী যে ওয়েনাডে কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন, সেই কেন্দ্রের মধ্যেই ত্রিক্কাইপেট্টায় বাড়ি বসন্তকুমারের। অমিত শাহেরা যে বারবার ওয়েনাডকে ‘পাকিস্তান’ বলছেন, সেই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বসন্তকুমারের বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘বিজেপির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত স্মৃতিনাশের কারণ বুঝতে পারি না! শহিদ তো শহিদই। এই ওয়েনাডের বসন্তকুমার তো দেশের জন্যই প্রাণ দিয়েছেন।’’
ওয়েনাডে সভা করেই এ দিন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কংগ্রেস সভাপতির দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘‘দিল্লি থেকে কাউকে উড়িয়ে এনে এখানে নামানোর দরকার নেই! ভারতীয় ধর্ম জনসেনার (বিডিজেএস) তুষার বেল্লাপল্লিকে জয়ী করুন, এলাকার উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।’’