—ফাইল চিত্র।
ওড়িশার বিজু জনতা দল এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেসকে এনডিএতে যোগ দেওয়ার ডাক দিল জেডিইউ। দলের মহাসচিব কে সি ত্যাগী আজ এই আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘‘বিহার, ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদার দাবিতেই একত্রিত হওয়া প্রয়োজন।’’
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না ধরে নিয়েই জেডিইউ এনডিএ-তে ‘শরিক ব্লক’-কে শক্তিশালী করতে নেমে পড়েছে। যদিও ত্যাগী বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া বা না-পাওয়া নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাননি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, সপ্তম তথা শেষ পর্বের ভোট এখনও শেষ হয়নি। কিন্তু প্রতিটি রাজনৈতিক দলই আগামী ২৩ মে কী ফলাফল হতে পারে তা মাথায় রেখে এখন থেকেই অঙ্ক কষা শুরু করে দিয়েছে। আপাত ভাবে সকলেই মনে করছে, বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এই পরিস্থিতিতে এনডিএতে শরিক দলের দর কষাকষির ক্ষমতা বাড়াতেই জেডিইউ আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে জেডিইউ নেতৃত্বের সঙ্গে নবীন পট্টনায়ক এবং জগন রেড্ডির কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তবে কী কথা হয়েছে সে বিষয়ে ত্যাগী এখনই মুখ খুলতে চাননি।
তিনি বলেন, ‘‘বিহার, ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যা কাটিয়ে আমাদের দাবি আদায়ের চেষ্টা করতে হবে।’’ জেডিইউ নেতৃত্ব মনে করছেন, ফলাফল বের হওয়ার আগে ওই দুই নেতা এনডিএতে যোগ দিলে দাবি জানানো আরও সহজ হবে। আসলে বিজেপির বিরুদ্ধে এনডিএয়ের মধ্যে পৃথক ব্লক তৈরি করতে চাইছে জেডিইউ।
অকালি দল এবং শিবসেনার সঙ্গে ইতিমধ্যেই জেডিইউ নেতৃত্বের কথা হয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে রাজি নন তাঁরা। ১৯ মে নির্বাচন শেষ হওয়ার পরে এ নিয়ে দলের কোর কমিটির বৈঠক ডেকে রণনীতি তৈরি করবেন নীতীশ কুমার।
২০২০ সালে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিহারের জন্য বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা আদায় করাই এখন নীতীশ কুমারের লক্ষ্য।