লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদীকে নিয়ে কল্যাণের করা মন্তব্যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। —ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রে বিজেপি ফের ক্ষমতায় আসুক। সেই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীকে দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চান তিনি। তবে এ ‘আকাঙ্ক্ষা’ বিজেপির কোনও সাধারণ কর্মী-সমর্থকের নয়, রাজস্থানের রাজ্যপাল কল্যাণ সিংহের। রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক পদে থেকে কোনও রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিত্বকে নিয়ে এমন মন্তব্য করা যায় না। আর সে কারণেই মোদীকে নিয়ে কল্যাণের করা মন্তব্যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার। রাজস্থানের রাজ্যপালের বাসভবনের সামনে সে দিন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। উত্তরপ্রদেশের আলিগড় লোকসভা কেন্দ্রে দলের বিদায়ী সাংসদ সতীশ গৌতমকে ফের প্রার্থী করেছে বিজেপি। তারই প্রতিবাদে তাঁরা সমবেত হয়েছিলেন সেখানে। উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন বিজেপি নেতা কল্যাণের কাছে তাঁদের অভিযোগ ছিল, আলিগড়ে কখনই দেখা যায় না সতীশকে। তাই তাঁকে প্রার্থীপদ থেকে সরাতে হবে। সেই সময় কল্যাণ প্রকাশ্যে জানান, এ বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়াটাই বাঞ্ছনীয়। একই সঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা সকলেই বিজেপি কর্মী। সকলেই চাই, বিজেপি জয়ী হোক। মোদী ফের এক বার প্রধানমন্ত্রী হোন। নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রী হওয়াটা দেশ ও সমাজের পক্ষে জরুরি।”
আগামী ১১ এপ্রিল লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। তার আগে সংবাদমাধ্যমে ৮৭ বছরের কল্যাণের এই মন্তব্য ভাইরাল হয়ে উঠেছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আরও পড়ুন: প্রচারে নেমেই ‘মা’ মমতাকে ‘কৈকেয়ী’ বলে কটাক্ষ ভারতীর
আরও পড়ুন: শিকড় যেখানে, সেখানেই কি প্রার্থী হচ্ছেন? জল্পনা বাড়ছে অগ্নিমিত্রাকে ঘিরে
উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ১৯৯২-এ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর তাঁর সরকার ভেঙে দেওয়া হয়। ১৯৯৯-এ তিনি বিজেপি ছেড়ে চলে যান। এর পরে ফের ২০০৪ দলে ফিরে আসেন। ২০১৪-য় রাজস্থানের রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্বও নেন কল্যাণ সিংহ।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)