নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে বারাণসী থেকে লড়তে মরিয়া সাজাদ।
‘হাই ভোল্টেজ ব্যাটল’ শুরু। বিশেষ করে বারাণসীতে তো বটেই। লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রের দিকে নজর সবার। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র এটি। এ বার কাশ্মীরের এক আন্দোলন কর্মীও ঘোষণা করলেন নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে এই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা।
২০১৪ সালে ভোট বয়কটের প্রচার চালিয়েছিলেন সাজাদ নুরাবাদী। তিনিই এ বার লড়তে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে। ৩০ বছরের এই যুবকের বাড়ি দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে। বাকি সব বিরোধী দলের সমর্থন আশা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে সাজাদের মন্তব্য, ‘‘গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা বলেন। এ বার তা বুঝবেন নরেন্দ্র মোদী।’’
এই নির্বাচনে লড়ার মূল কারণ কাশ্মীরীদের জীবনে শান্তি ফিরিয়ে আনা, এমনটাই বলেন সাজাদ। তাঁর কথায়, ‘‘নরেন্দ্র মোদী ভারতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং কাশ্মীরীদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছেন।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
গত কয়েক বছরে উপত্যকায় জঙ্গি হামলার সাক্ষীও তিনি। নিজের পার্টি তৈরি করেছেন তিনি। তবে তা এখনও সরকারের খাতায় নথিভুক্ত নয়। তেহরিক-ই-ইনসাফ নামের এই পার্টিতে উপত্যকায় কয়েকজন সমাজকর্মীও যোগ দিয়েছেন। ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দলটির নামও তেহরিক-ই-ইনসাফ।
আরও পড়ুন: রাজনীতির লড়াইয়ে ফের পুরনো ভূমিকায়, রাজ্য বিজেপির প্রচার গান রেকর্ডিং বাবুলের
তবে তাঁর দলের নাম সরকারের খাতায় না ওঠায় বারাণসী থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বিভিন্ন দলের কাছে দরবার করছেন সাজাদ। কেউ টিকিট না দিলে নির্দল প্রার্থী হিসেবেই নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়াই করবেন উপত্যকায় দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকা এই তরুণ।
লোকসভা ভোটের সব খবর পড়তে ক্লিক করুন
বছর তিরিশের সাজিদ ২০১৪ সালে ভোট বয়কট প্রচার চালিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ১৫ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতেও ছিলেন তিনি। সংবাদ সংস্থাকে নিজেই জানিয়েছেন সে কথা। তা হলে ভোটে নিজেই দাঁড়ালেন কেন? এর উত্তরে সাজাদের জবাব, কাশ্মীর সমস্যার দ্রুত সমাধান চাই। কারণ বিচ্ছিন্নতাবাদী কোনও পার্টিও তাঁর কথা শোনেনি। তাই সিস্টেমে প্রবেশ করেই সিস্টেমে বদল চান তিনি।
জীবনে মাত্র একবারই বারাণসীতে গিয়েছেন, তাও ছাত্রাবস্থায়, বন্ধুদের সঙ্গে। তবুও বারাণসীর ভোটাররা তাঁকে ভোট দেবেন, এমনটাই দাবি করেছেন সাজাদ। দেশের সর্বত্রই আক্রান্ত কাশ্মীরীরা, এ কথা উল্লেখ করে সাজাদ বলেন, ‘আমরা কাশ্মীরী। আমরা কেউ সন্ত্রাসবাদী নই, সারা দেশের মানুষদের কাছেও এই বার্তা পৌঁছনো প্রয়োজন। কাশ্মীরীদের ভিনগ্রহী প্রাণী হিসেবে দেখা বন্ধ হোক।’
আরও পডু়ন: জটিল হচ্ছে গোয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসরে নিতিন গডকড়ী, রাতভর বৈঠক শরিক দলগুলোর সঙ্গে
এর আগে অনন্তনাগে উপনির্বাচনে মেহবুবা মুফতির বিরুদ্ধে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন তিনি। কিন্তু তা বাতিল হয়ে যায়। উপত্যকা ফের তপ্ত হয়ে ওঠে সংঘর্ষে। আট জন সাধারণ নাগরিকও প্রাণ হারান সেই সংঘর্ষে।