প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবি মায়াবতীর

বিরোধী জোট ক্ষমতায় এলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, সে নিয়ে জল্পনা চলছেই। নেতানেত্রীরা এক-এক জনের নাম তুলে ধরছেন। সম্প্রতি দেবগৌড়া যেমন বলেছিলেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৯ ০১:৪৫
Share:

নরেন্দ্র মোদী নন, প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য ‘যোগ্য’ তিনিই, সাংবাদমাধ্যমের কাছে এমনটাই দাবি করলেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। বলেন, দেশ ও মানুষের সেবার প্রসঙ্গ উঠলে, সর্বোচ্চ পদে তিনিই যোগ্য।

Advertisement

বিরোধী জোট ক্ষমতায় এলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, সে নিয়ে জল্পনা চলছেই। নেতানেত্রীরা এক-এক জনের নাম তুলে ধরছেন। সম্প্রতি দেবগৌড়া যেমন বলেছিলেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান। এই পরিস্থিতিতে মায়াবতী নিজেই নিজের প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবি পেশ করে দিলেন। সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি মায়াবতীকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান।

একটি বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘উন্নয়নের প্রশ্নই যদি ওঠে, উত্তরপ্রদেশের চেহারা বদলে দিয়েছিল বিএসপি। লখনউয়ের ব্যাপক সৌন্দার্যায়ন হয়েছিল। এই সব কাজের ভিত্তিতে ধরে নেওয়া যায়, দেশ ও মানুষের সেবার জন্য বিএসপি নেত্রী সব চেয়ে যোগ্য। সেই তুলনায় নরেন্দ্র মোদী একেবারেই যোগ্য নন।’’

Advertisement

মায়াবতী আরও দাবি করেন, তাঁর চার বারের মুখ্যমন্ত্রিত্বে, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ নেই। সেই সময়ে উত্তরপ্রদেশের আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছিল। বলেন, ‘‘মানুষ এখনও আমার প্রশংসা করেন। মোদী কিন্তু আমারও বেশি সময় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ওঁর জীবন তো সাম্প্রদায়িক হিংসায় ভরা, ইতিহাসে কালো চিহ্ন হয়ে থাকবে।’’ মায়াবতীর দাবি, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী, দুই পদেই মোদী অযোগ্য।’’ তাঁকে ‘দৌলত কি বেটি’ বলার জন্যেও বিজেপি নেতৃত্বকে আক্রমণ করেছেন মায়া। তাঁর দাবি, দলিত কাউকে ক্ষমতায় দেখতে চান না এঁরা। সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার।

অন্য দিকে, ধর্ষণে অভিযুক্ত এসপি-বিএসপি জোটের প্রার্থী অতুল রাইয়ের অন্তর্বর্তিকালীন রক্ষাকবচের আবেদন শুক্রবার খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ২৩ মে পর্যন্ত রক্ষাকবচের আবেদন জানিয়েছিলেন ঘোশী কেন্দ্রের প্রার্থী অতুল। পরবর্তী শুনানি ২৭ মে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন