‘এখন পাকিস্তানের কাঁদার পালা, শহিদদের বদলা কি নেব না?’

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৫১
Share:

ছবি: পিটিআই।

বিজেপি জিতলে ভারত-পাক শান্তি আলোচনার পথ প্রশস্ত হবে— লোকসভা ভোট শুরু হওয়ার মুখেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের এই সার্টিফিকেটে বিব্রত তাঁর সরকার। তাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীরা যতই প্রশ্ন তুলুক, দ্বিতীয় দফায় ৯৭টি আসনে ভোটের আগে আজ পাক সন্ত্রাসের প্রসঙ্গে ফের বদলার হুঙ্কার শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীর মুখে। মহাবীর জয়ন্তীতে শান্তির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেও তিনি বেশি জোর দিলেন সেনা-পরাক্রম ও দেশাত্মবোধে। এটিকে অস্বস্তি কাটানোর মরিয়া চেষ্টা হিসেবেই দেখছেন বিরোধীরা।

Advertisement

ইমরানের মন্তব্য নিয়ে মোদী এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘মনে রাখতে হবে, ইমরান ছিলেন ক্রিকেটার। মনে হয়, ভারতীয় নির্বাচনের ফল উল্টে দিতে ওটা তাঁর ‘রিভার্স সুইং’। তবে ‘রিভার্স সুইং‌’ এলে কী ভাবে ‘হেলিকপ্টার শট’ হাঁকাতে হয়, ভারতীয়রা সেটা জানে। সেই ‘হেলিকপ্টার শট’টি এল আজ বিকেলে গুজরাতে সুরেন্দ্রনগরের ভোট-সভা থেকে। সেখানে মোদী এ দিন বলেন, ‘‘আগে পাকিস্তান থেকে জঙ্গি এসে হামলা চালিয়ে ফিরে যেত। ভারতের প্রত্যাঘাতের প্রশ্ন উঠলেই ওরা বলত, আমাদের কাছে পরমাণু বোমা আছে। আমি সিদ্ধান্ত নিই, যা হয় হোক বদলা আমরা নেবই। ওদের ব্ল্যাকমেলের ফাঁদে আর পা দেব না। আমাদের কাছে পরমাণু বোমার মা আছে।’’

কংগ্রেস জমানাকে বিঁধে মোদী বলে চলেন, ‘‘আগে কিছু হলে আমাদের লোকেরা গোটা দুনিয়ায় কেঁদে ফিরত, পাকিস্তান এই করেছে, পাকিস্তান ওই করেছে। এখন পাকিস্তানের কাঁদার পালা। আমরা কি ওদের (পাক জঙ্গিদের) ঘরে ঢুকে মারিনি? আমরা কি ওদের ঘরে ঢুকে মারব না? আমরা কি আমাদের জওয়ানদের শহিদ হওয়ার বদলা নেব না?’’ ভিড়ের জবাব আসে, অবশ্যই।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ইমরান অস্বস্তি কাটাতে প্রথম দফায় মোদী আজ মাঠে নামিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে। কংগ্রেসের কোর্টে বল ঠেলে তিনি বলেন, ‘‘আমি জানি না, কেন এই মন্তব্য করা হল। মাঝেমধ্যেই এই সব বলা হয়। আমি জানি, কংগ্রেসের অনেক বড় বড় নেতা পাকিস্তানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হটানোর জন্য সে দেশের নেতাদের সমর্থন চেয়েছিলেন। এখন মনে হচ্ছে, এই সবই কংগ্রেস নেতৃত্বের একটি অংশের খেলা। এটা আমার দল বা সরকারের বক্তব্য নয়। শুধুই আমার ব্যক্তিগত মতামত।’’ পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি দাবি করেছিলেন, ১৬ থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে ভারত ফের আক্রমণ করতে পারে।’’ নির্মলা বলেন, ‘‘ঈশ্বর জানেন কোথা থেকে দিনক্ষণ জানলেন! ওঁর ভাল হোক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন