মায়াবতী-অখিলেশ আসন ভাগাভাগি করে নিতেই কংগ্রেসের পক্ষে ‘মজবুত’ হিসেবে ২৫টির মতো আসনকে চিহ্নিত করে ফেললেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধীরা।
দিল্লিতে কংগ্রেসের ‘ওয়ার-রুম’-এ প্রিয়ঙ্কা গত কাল রাত বারোটা পর্যন্ত বৈঠক করেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও রাজ বব্বরের সঙ্গে। সেখানে ২৫টির মতো এমন আসন চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে সরাসরি বিজেপির সঙ্গে লড়াই বলে মনে করছেন প্রিয়ঙ্কারা। রাহুল গাঁধীর সঙ্গে আলোচনা করে এই আসনগুলি নিয়ে এ বারে কথা বলা হবে মায়াবতী ও অখিলেশ সিংহ যাদবের সঙ্গে। যাতে ওই আসনগুলিতে তাঁরা দুর্বল প্রার্থী দিয়ে কংগ্রেসকে জেতাতে সাহায্য করেন। কিন্তু মায়াবতী তাতে রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। সে কারণে ‘প্ল্যান বি’-ও ভেবে রেখেছেন প্রিয়ঙ্কারা। এসপি-বিএসপিকে এই সমঝোতায় রাজি করানো না গেলে তাঁদের ‘বিজেপির দালাল’ বলে প্রচার করতেও পিছপা হবে না কংগ্রেস।
রাহুলের নিয়োগ করা উত্তরপ্রদেশের দুই সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্র ধরে ধরে কংগ্রেসের কর্মীদের মনের কথা জেনে নিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছে, সিংহভাগ কর্মীই রাজ বব্বরকে প্রদেশ সভাপতি পদ থেকে সরাতে চান। রাজ বব্বর নিজেও পদত্যাগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন রাহুলের কাছে। কিন্তু রাহুল লোকসভা ভোটের আগে সংগঠনে বড় রদবদলের খুব বেশি পক্ষপাতী নন। বরং লোকসভার পরে বিধানসভার জন্য রাজ্যের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের দু’জন সভাপতি নিয়োগের নকশা তৈরি হয়ে আছে। কিন্তু কর্মীদের মনোভাবের কথা জানার পরে রাহুলকেও বিষয়টি নিয়ে ফের ভাবতে ও সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বিজেপির চিন্তা, এমনিতেই মায়া-অখিলেশের জোটে দলের হাল খারাপ। তার উপর কংগ্রেসও তাদের সঙ্গে কোনও সমঝোতা করে ফেললে আরও শোচনীয় হবে পরিস্থিতি। এসপি-বিএসপি গত কাল আসন ভাগাভাগি করার পর এমনিতেই দু’দলের কর্মীদের মধ্যে কিছুটা অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তা উস্কে দিয়ে উমা ভারতী আজ বলেছেন, ‘‘এসপি-বিএসপি জোটে আমাদেরই লাভ। এক দলের কর্মী অন্যদের ভোট দেবে না। এসপি যখন মায়াবতীকে আক্রমণ করবে, তখন বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী আমাকে ফোন করতে পারেন।’’
প্রিয়ঙ্কা প্রচারে বেরোনোর আগেই পূর্ব উত্তরপ্রদেশে ধারাবাহিক অনুষ্ঠান সাজিয়ে রেখেছে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী রবিবার যাবেন কুম্ভে। কৃষক সম্মেলন করবেন গোরক্ষপুরে। অমিত শাহ ২৬ তারিখ যাবেন বারাণসী।