রাবড়ি দেবী। ফাইল চিত্র।
ধর্ষণে অভিযুক্তর পাশে দাঁড়ালেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী। বললেন ধর্ষণের মামলায় মিথ্যা ভাবে ফাঁসানো ওঁকে।
আরজেডি প্রার্থী বিভা দেবীর সমর্থনে বৃহস্পতিবার নওয়াদাতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন রাবড়ি দেবী। এই বিভা দেবীই ধর্ষণে অভিযুক্ত রাজবল্লভ যাদবের স্ত্রী। নওয়াদা লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে রাজবল্লভের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় দোষী সাব্যস্তও হন তিনি। ফলে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্যতা হারান তিনি।
সেই রাজবল্লভের স্ত্রীর সমর্থনে আয়োজিত এক জনসভায় গিয়েছিলেন রাবড়ি দেবী। রাজবল্লভকে সমর্থন করে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “যাদব সম্প্রদায়ের সম্মানহানি করতেই রাজবল্লভকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তাঁকে জেলে পাঠানো হয়েছে।” এরই সঙ্গে সভায় উপস্থিত নওয়াদার মানুষের উদ্দেশে তাঁর আহ্বান, বিভা দেবীকে ভোটে জেতান। তাঁকে ভোটে জেতানোর ব্যবস্থা আপনাদেরই করতে হবে।
ধর্ষণে অভিযুক্ত এক জনের পাশে দাঁড়ানোয় বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যদিও এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি রাবড়ি দেবীর।
আরও পড়ুন: অভিনন্দন কি পাক এফ-১৬ ধ্বংস করেছিলেন? ভারতের দাবি ঘিরে প্রশ্ন তুলল মার্কিন প্রতিবেদন
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
২০১৬-য় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ডিসেম্বরে রাজবল্লভকে দোষী সাব্যস্ত করে পটনা হাইকোর্ট। পকসো আইনে মামলা রুজু হয় রাজবল্লভের বিরুদ্ধে। নওয়াদার এই আরজেডি বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, বিহার শরিফে নিজের বাড়িতে জন্মদিন উপলক্ষে নিয়ে গিয়ে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ২০১৬-র ফেব্রুয়ারিতে দল থেকে সাসপেন্ড করা রাজবল্লভকে। বার বার গ্রেফতারি এড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু স্থানীয় আদালত রাজবল্লভের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বলে। পটনা হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করলেও ২০১৬-র নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট রাজবল্লভের জামিন খারিজ করে দেয়।