শনিবার দিল্লিতে রাহুল গাঁধী। ছবি: কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডল থেকে সংগৃহীত।
মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার কৃতিত্ব নিতে চাওয়ায় এ বার বিজেপিকে তীব্র আক্রমণে বিঁধলেন রাহুল গাঁধী। ১৯৯৯-তে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের আমলে বিমান ছিনতাইয়ের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের সঙ্গে আপস করার অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস সভাপতি।
পুলওয়ামার জবাবে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বালাকোটে অভিযান চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। বায়ুসেনার সেই কৃতিত্বকে হাতিয়ার করে নির্বাচনে ভোট চাইতে দেখা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতাকে। তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগও জমা পড়ে। চলতি সপ্তাহে রাষ্ট্রপুঞ্জ মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণার পরও, বিজেপিকে একই অবস্থান নিতে দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কূটনৈতিক দৌত্যের ফলেই মাসুদ আজহারকে ‘নিষিদ্ধ জঙ্গি’ ঘোষণা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন বিজেপি নেতারা।
রাহুল গাঁধীর আপত্তি এখানেই। শনিবার দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‘মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। কিন্তু কারা তাকে পাকিস্তান ফেরত পাঠিয়েছিল? সন্ত্রাসের সামনে কারা মাথা নুইয়েছিল? কারা ওকে মুক্তি দিয়েছিল? কংগ্রেস নয়, বরং তত্কালীন বিজেপি সরকারই এই কাণ্ড ঘটিয়েছিল। আসল কথা হল, বিজেপি-ই সন্ত্রাসের সঙ্গে আপস করে। কংগ্রেস কখনও কাউকে পাকিস্তান ফেরত পাঠায়নি, আর পাঠাবেও না।’’
আরও পড়ুন: 'আসুন, মুখোমুখি বিতর্কে বসি', মোদীকে চ্যালেঞ্জ রাহুলের
আরও পড়ুন: বিপদ কাটল কান ঘেঁষে, স্থলভাগে ঢুকে ফণীর দ্রুত শক্তি খোয়ানোই বাঁচিয়ে দিল বাংলাকে
নির্বাচনের মুখে বিরোধী রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংস্থাকে সক্রিয় করা নিয়ে আগে একাধিক বার বিজেপিকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি করার অভিযোগও তুলেছে তারা। সন্ত্রাস দমনেও বিজেপির সেই প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোবৃত্তি রয়েছে বলেও এ দিন অভিযোগ করেন রাহুল। তাঁর কথায়, ‘‘সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সন্ত্রাস দমনের পক্ষপাতী আমরা। বিজেপি পুরোটাই করে প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাব থেকে।’’ ক্ষমতায় এলে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মোদী সরকারের চেয়েও কঠোর পদক্ষেপ করে দেখাবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।