প্রিয়ঙ্কাকে নিয়ে ফের লড়াইয়ে রাহুল

পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার পরে রাহুল গাঁধী সামনে এসে বসেছিলেন, রাজনীতি ভুলে এখন তাঁরা সরকারের পাশে। কিন্তু কংগ্রেস ‘যুদ্ধবিরতি’ করলেও থামেননি মোদী।

Advertisement

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৯ ০৩:৩২
Share:

ফাইল চিত্র।

ঢের হয়েছে ‘যুদ্ধবিরতি’। একাই রাজনীতি করে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। ঘুরে দাঁড়াতে ফের মাঠে নামছে রাহুল-প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর জুটি।

Advertisement

পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার পরে রাহুল গাঁধী সামনে এসে বসেছিলেন, রাজনীতি ভুলে এখন তাঁরা সরকারের পাশে। কিন্তু কংগ্রেস ‘যুদ্ধবিরতি’ করলেও থামেননি মোদী। পাকিস্তানে বায়ুসেনা হামলার আগে ও পরে নিরন্তর বিঁধে আসছেন কংগ্রেস ও বিরোধীদের। এখন সেনাকে সামনে রেখেও জাতীয়তাবাদের তাস খেলছেন রোজ। প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন, বিরোধীরা দেশবিরোধী, পাকিস্তানের সহযোগী। দলের নেতাদের রাহুল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘ঢের হয়েছে। রাফাল থেকে বেকারত্ব, কৃষিসঙ্কট থেকে বেহাল অর্থনীতি— সব কিছু নিয়ে আবার লড়াইয়ে ঝাঁপাতে হবে।’’

দিল্লিতে ১২ নম্বর তুঘলক লেনে রাহুলের বাড়িতে আজ সনিয়া গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কার বৈঠক হয়। কংগ্রেস সূত্রের মতে, মোদীকে রেয়াত করার দিন শেষ। ফের রাজ্যওয়াড়ি আক্রমণাত্মক সফর শুরু করবেন রাহুল। প্রিয়ঙ্কাও চলতি সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশ সফরে যাবেন। ইলাহাবাদে চার দিনের কর্মসূচিও তৈরি হচ্ছে তাঁর। রাহুলও শুক্রবার ওড়িশা, পর দিন তেলঙ্গানা-কর্নাটক যাবেন। ১১ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতেই বুথ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন। তার পরের দিন মোদী-রাজ্য গুজরাতে হবে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। সঙ্গে জনসভা। এই প্রথম ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে থাকবেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। গুজরাত কংগ্রেসের দাবি, এই বৈঠকের পরে দলিত নেতা হার্দিক পটেল দলে যোগ দেবেন। মেহসানা বা জামনগর লোকসভা আসন থেকে তিনি প্রার্থীও হতে পারেন।

Advertisement

দিল্লিতে রাহুল-সনিয়া আজ জি-২০ভুক্ত ও প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করেন। ছিলেন মনমোহন সিংহও। পাকিস্তানকে এই আয়োজন থেকে বাদ রেখেছে কংগ্রেস। দলের এক সূত্র জানায়, যে ভাবে নরেন্দ্র মোদী এখন জাতীয়তাবাদের তাস খেলছেন, তা নিয়েও কথা বলেছেন কংগ্রেস সভাপতি। অতিথিদের বলেন, তাঁর পরিবার সন্ত্রাসের শিকার। কংগ্রেস সব সময়ে সন্ত্রাস মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। ফলে কারও থেকে জাতীয়তাবাদ শেখার দরকার নেই। রাহুল পরে টুইটে বলেন, ‘‘আজ কূটনীতিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সকলে একজোট।’’

দিনে দলকে রাফাল দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করানোর পর সন্ধ্যায় নিজেও টুইট করেন রাহুল। দুর্নীতি নিয়ে সরাসরি মোদীকে নিশানা করে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার দাবি তুলেছেন। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে বেকারত্ব সব থেকে বেশি, এই নিয়ে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকেও সরব হতে বলেছেন। পাশাপাশি একজোট হয়ে লড়ার জন্য বিরোধী জোটের নেতাদের সঙ্গে নতুন আলোচনাও শুরু করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। সেনা নিয়ে মোদীর রাজনীতির জবাব কী ভাবে একসুরে দেওয়া যায়, সে কথাও হচ্ছে।

রাজ্য ধরে ধরে সমঝোতার কাজটিও দ্রুত গতিতে সেরে ফেলছেন রাহুল। গত কাল দিল্লির পর আজ বাংলার নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। তার ফাঁকেই আজ সকালে যান এইচ ডি দেবগৌড়ার সঙ্গে কথা বলতে। কর্নাটকে অনেক দিন ধরেই ১২টি আসনের দাবি করে আসছিল কংগ্রেসের শরিক জেডিএস। কিন্তু রাহুল সে’টি দশের নীচে নামিয়ে আনতে চাইছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন