Lok Sabha Election 2019

‘চৌকিদার’ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাহুল গাঁধী

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে গিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েন রাহুল গাঁধী। সুপ্রিম কোর্টও নরেন্দ্র মোদীকে চোর বলেছে বলে মন্তব্য করে বসেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৯ ১৪:০৯
Share:

আদালতে ক্ষমা চাইলেন রাহুল গাঁধী। —ফাইল চিত্র।

সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগানের সঙ্গে জুড়ে ফেলেছিলেন। তার জন্য শীর্ষ আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। বুধবার আদালতে নতুন হলফনামা জমা দিয়ে রাহুল জানান, সুপ্রিম কোর্টকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে বিদ্রূপ করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃত ভাবে এবং অসাবধানবশত আদালতের রায়ের সঙ্গে ওই স্লোগান জুড়ে ফেলেছেন।

Advertisement

বুধবার আদালতে নতুন করে তিনপাতার হলফনামা জমা দেন রাহুল গাঁধীর আইনজীবী। তাতে বলা হয়,‘‘মহামান্য আদালতের নির্দেশের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারের মধ্যে করা মন্তব্য মিশিয়ে ফেলায় নিঃশর্ত ভাবে ক্ষমাপ্রার্থী রাহুল গাঁধী। সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত ভাবে এবং অসাবধানবশত এই ভুল হয়ে গিয়েছে। রাহুল গাঁধী শীর্ষ আদালতকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেন। অসম্ভব শ্রদ্ধা করেন। তাই আদালতের ন্যায় প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হয়, ইচ্ছাকৃত ভাবে এমন কোনও কাজ করার অভিপ্রায় তাঁর নেই।’’

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে ফাঁস হয়ে যাওয়া নথিপত্রের ভিত্তিতে রাফাল মামলা লড়া যাবে বলে সম্প্রতি রায় দেয় শীর্ষ আদালত। তার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে গিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েন রাহুল গাঁধী। সুপ্রিম কোর্টও নরেন্দ্র মোদীকে চোর বলেছে বলে মন্তব্য করে বসেন। সেই মন্তব্যের জেরে তাঁকে আদালতে টেনে নিয়ে যান বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি। রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে পদক্ষেপ করতে হবে বলে দাবি তোলেন তিনি। যদিও এ দিন হলফনামায় অবিলম্বে মামলাটি বন্ধ করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন রাহুল। শুক্রবার তাঁর আবেদনের শুনানি করবে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

আরও পড়ুন: কংগ্রেসের পরে তৃণমূলও, চ্যালেঞ্জ ছুড়তে সেই গেরুয়া ময়দানেই পা

আরও পড়ুন: লাহৌরের মসজিদে বিস্ফোরণে ৫ নিরাপত্তা কর্মী-সহ হত ৮, জখম অন্তত ২৫​

এর আগে, গত ৩০ এপ্রিল আদালতে ২২ পাতার হলফনামা জমা দিয়েছিলেন রাহুল গাঁধী। তাতে গোটা ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলেও, কোথাও ক্ষমা চাননি তিনি। তাতেই বিরক্ত হয় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি সঞ্জয়কিষাণ কউল এবং বিচারপতি কেএম জোসেফের ডিভিশন বেঞ্চ। ভুল স্বীকার করে এবং ক্ষমা চেয়ে নতুন করে তাঁকে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়। শুরুতে এর জন্য চার সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন রাহুলের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি আদালত। তার পর এ দিন কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের হয়ে নতুন হলফনামা জমা দেন তাঁর আইনজীবী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন