তেজ বাহাদুর যাদব। ফাইল চিত্র।
বিএসএফ জওয়ান তেজবাহাদুর যাদবের আবেদন আগামী ৯মে’ র মধ্যে কমিশনকে খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর ডিভিশন বেঞ্চের তরফে নির্বাচন কমিশনের কাউন্সেলকে এ ব্যাপারে বিশদে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৯ মে’-র মধ্যে যাদবের রোষের কারণগুলি কমিশনকে খতিয়ে দেখতে বলল শীর্ষ আদালত।
সেনা জওয়ানদের খাবারের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তুলে চাকরি খুইয়েছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন পদস্থ কর্তাদের বিরুদ্ধে। সেই বিএসএফ জওয়ান তেজবাহাদুর যাদব এ বার লোকসভা ভোটে বারাণসী থেকে সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মনোনয়ন বাতিল করে দেয় নির্বাচন কমিশন। এর পরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন জওয়ান।
তেজবাহাদুরের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ দাবি করেন, তেজবাহাদুরের মনোনয়ন দাখিল বেআইনি ছিল না। যাদব তাঁর আবেদনে জানান, নির্বাচন কমিশনের আচরণ বৈষম্যমূলক, অযৌক্তিক।
আরও পড়ুন: কংগ্রেসের পরে তৃণমূলও, চ্যালেঞ্জ ছুড়তে সেই গেরুয়া ময়দানেই পা
বারাণসীর নির্বাচনী আধিকারিক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের কোনও কর্মী দুর্নীতি বা রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যহীনতার জন্য বরখাস্ত হলে তিনি পাঁচ বছর ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। সেই বিষয়েই নথিপত্র চাওয়া হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা জমা দিতে না পারায় যাদবের মনোনয়ন বাতিল হয়।
আরও পড়ুন: প্রথমে অপহরণ, পরে ৫১ দিন আটকে রেখে গণধর্ষণ কিশোরীকে
২৪ এপ্রিল প্রথম দফায় যাদব আবেদনে জানান, তাঁকে বিএসএফ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। ২৯ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ক্ষেত্রে তিনি এসপি’র হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন একথা জানালেও আর কিছু উল্লেখ করেননি।
আরও পড়ুন: কালান্তক হয়ে উঠছে গ্রামের বিষ ধোঁয়া, রাজ্যে বাড়ছে ক্যানসার, স্ট্রোক, মৃত্যুও
বিএসএফ জওয়ানদের অত্যন্ত নিম্নমানের এবং সামান্য পরিমাণ খাবার দেওয়ার অভিযোগ তুলে ২০১৭ সালে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেন তেজ বাহাদুর। সেই খাবারের ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য ছিল, কেন্দ্রের সরকার কম বা নিম্নমানের খাবার দেয় না। সেনা অফিসাররা সেই খাবার বিক্রি করে দেন বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন তেজ বাহাদুর। ২০১৯ সালে তাঁকে কোর্ট মার্শাল করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিল বিএসএফ।