Advertisement
E-Paper

কালান্তক হয়ে উঠছে গ্রামের বিষ ধোঁয়া, রাজ্যে বাড়ছে ক্যানসার, মৃত্যুও

কোনও ‘নিশ্চিন্দিপুর’ই আর নিশ্চিন্তে থাকতে দিচ্ছে না আমাদের। বিষে ভরিয়ে দিচ্ছে বাতাস। হৃদরোগ, ডায়াবিটিস, ক্যানসারের মতো রোগগুলিকে দ্রুত ছড়াতে সাহায্য করছে। কমিয়ে দিচ্ছে আয়ু। কেড়ে নিচ্ছে প্রাণ।

সুজয় চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৯ ১১:২৯
অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।

অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।

হ্যাঁ, অপু-দুর্গাদের সেই হা-অন্ন অজ পাড়াগাঁয়ের মতো দেশের হাজার হাজার গ্রাম বিষিয়ে দিচ্ছে আমাদের শ্বাসের বাতাস। কোনও ‘নিশ্চিন্দিপুর’ই আর নিশ্চিন্তে থাকতে দিচ্ছে না আমাদের। বিষে ভরিয়ে দিচ্ছে বাতাস। ক্যানসার, স্ট্রোক, হৃদরোগ, ডায়াবিটিসের মতো রোগগুলিকে দ্রুত ছড়াতে সাহায্য করছে। কমিয়ে দিচ্ছে আয়ু। কেড়ে নিচ্ছে প্রাণ।

দিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (আইআইটি) সাম্প্রতিক গবেষণা এই উদ্বেগজনক তথ্য দিয়েছে। জানিয়েছে, আমাদের সর্বনাশ ডেকে আনছে কাঠ, কয়লায় উনুনে রান্নাবান্না। শীতের ভোরে বা রাতে কাঠের আগুনে গা সেঁকে নেওয়ার অভ্যাস। ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের মুখে আমাদের দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে বিদ্যুতের অভাবে তেলের কুপি বা কেরোসিনের আলোর ব্যবহার। এই গবেষণায় সঙ্গী হয়েছে বার্কলের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ও।

পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু প্রায় ৯৫ হাজার মানুষের!

যার জেরে শুধু ২০১৭ সালেই পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৯৫ হাজার মানুষের। ওই বছর প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে ভারতে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আয়ু কমে গিয়েছে গড়ে প্রায় সাড়ে ৮ মাস। গোটা দেশেও তা কমেছে একই ভাবে। বাড়িয়ে দিয়েছে হৃদরোগ, ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। মৃত্যুর সংখ্যাও। গবেষণাপত্রটি ছাপা হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘প্রসিডিংস অব ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস’ বা ‘পিন্যাস’-এ।

ওই জার্নালই জানাচ্ছে, শিশু ও মায়ের অপুষ্টির কারণের পর, ২০১৭-য় ভারতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বায়ুদূষণের জন্য। বায়ুদূষণে মৃত্যুর সংখ্যা এ দেশে পিছনে ফেলে দিয়েছে উচ্চ রক্ত চাপ, ডায়াবিটিস, তামাক সেবন, কোলেস্টেরলের উচ্চ মাত্রা, মাদক সেবনের মতো কারণগুলিকে।

একটু ফুরফুরে বাতাস বুকে টেনে নিতেই তো শহর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন দূরে। গ্রামে, গ্রামান্তরে। ধূলিধূসর নাগরিক বাতাসের বিষের ছোবল থেকে বাঁচতে। কিন্তু যদি জানতেন, গ্রামাঞ্চলের ঘর-গেরস্থালিই বিষের বোঝায় ভরিয়ে দিচ্ছে আমাদের শ্বাসের বাতাস, কেড়ে নিচ্ছে আমাদের প্রাণ, তা হলে কি হুট বলতেই কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে ছুট লাগাতেন গ্রামে?

আয়ু কমছে কোথাও ১১ মাস, কোথাও সাড়ে ৮ মাস

গবেষণা জানিয়েছে, পরিস্থিতি যাতে নাগালের বাইরে চলে না যায়, সে জন্য যে সীমারেখা বেঁধে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (‘হু’), ভারতের কোথাও তার ধারেকাছে নেই বাতাসের গুণমান। এ দেশে বাতাসে সেই বিষের পরিমাণ সর্বত্রই, ‘হু’-র বেঁধে দেওয়া মাত্রার অন্তত ৪ গুণ। এমনকি, কোথাও কোথাও তা ১৭ গুণও! ভয়াবহ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের গ্রামগুলির। যেখানে গার্হস্থ্য দূষণের জেরে মানুষের আয়ু কমেছে গড়ে সাড়ে ৮ মাস করে।

গবেষণা এও জানিয়েছে, এ দেশে ফিবছর যে পরিমাণ বিষে ভরে উঠছে আমাদের শ্বাসের বাতাস, তার ৩০ শতাংশের জন্যই দায়ী আমাদের গ্রামাঞ্চলের ওই সব গার্হস্থ্য অভ্যাস। যাকে বদভ্যাসও বলা যায়। আবার তা বলাও যায় না, সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রকল্পের অপ্রতুলতার কথা মাথায় রাখলে।

পরিবেশকে মোটামুটি ভাবে বেঁচে থাকার মতো করে রাখতে প্রতি ঘন মিটার বাতাসে যে ধরনের যে পরিমাণ দূষণ কণা (পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম) থাকা উচিত বলে সীমারেখা বানিয়ে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (‘হু’), ভারতের সর্বত্রই তার পরিমাণ সেই সীমারেখার অন্তত ৪ গুণ।

যে সব ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র দূষণ কণার ব্যাস আড়াই (পিএম-২.৫) মাইক্রোমিটারের বেশি নয়, ‘হু’-র মডেলে, প্রতি ঘন মিটার আয়তনের বাতাসে সেই দূষণ কণার ওজন ১০ মাইক্রোগ্রামের বেশি থাকা উচিত নয়। পিএম-২.৫ দূষণ কণাদের ওজন তার চেয়ে বেড়ে গেলেই তা পরিবেশের পক্ষে হয়ে ওঠে অত্যন্ত বিপজ্জনক। কিন্তু ভারতের কোনও এলাকার বাতাসই সেই নিয়মকে পরোয়া করে না। এ দেশের বেপরোয়া বাতাসের প্রতি ঘন মিটার আয়তনে গড়ে থাকে ৪০ মাইক্রোগ্রাম ওজনের পিএম-২.৫ দূষণ কণা।

আরও পড়ুন- জল থেকে ক্যানসারের বিষ তাড়ানোর পথ দেখালেন বাঙালি​

আরও পড়ুন- বিপদে দশ লক্ষ প্রজাতি, বাঁচাবে কে! ​

পিএম-২.৫ দূষণ কণা ছাড়াও রয়েছে আরও এক ধরনের দূষণ কণা। তাদের নাম- পিএম-১০। এই দূষণ কণাদের ব্যাস ১০ মাইক্রোমিটার। মানে, পিএম-২.৫ দূষণ কণাদের চেয়ে চেহারায় প্রায় সাড়ে ৪ গুণ বড়। তবে বড় বলেই পিএম-১০ দূষণ কণা শ্বাসের বাতাসের সঙ্গে চট করে আমাদের ফুসফুসে, রক্তে ঢুকে পড়তে পারে না। যা সহজেই পারে চেহারায় অনেক ছোট পিএম-২.৫ দূষণ কণারা। তাই এই কণারাই আমাদের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক।

দুই মূল গবেষক সাগ্নিক দে (বাঁ দিকে), কার্ক স্মিথ ও ক্যালিফোর্নিয়া এয়ার রিসোর্সেস বোর্ডের বিশেষজ্ঞ সুলেখা চট্টোপাধ্যায়

আন্তর্জাতিক দলের ওই গবেষণা জানিয়েছে, গ্রামাঞ্চলের এই গার্হস্থ্য দূষণের জেরে হৃদরোগ, ক্যানসার, ডায়াবিটিসের মতো রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, অসম, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও সিকিমে।

দেশের ৭টি সবচেয়ে দূষিত শহরের একটি কলকাতা

প্রতি ঘন মিটার বাতাসে যেখানে ১০ মাইক্রোগ্রামের বেশি ওজনের দূষণ কণা থাকা বিপজ্জনক, সেখানে তা সবচেয়ে বেশি রয়েছে কানপুরে। ১৭৩ মাইক্রোগ্রাম। তার পরেই রয়েছে গয়া (১৪৯ মাইক্রোগ্রাম), বারাণসী (১৪৬ মাইক্রোগ্রাম), পটনা (১৪৪ মাইক্রোগ্রাম), দিল্লি (১৪৩ মাইক্রোগ্রাম) ও আগরা (১৩১ মাইক্রোগ্রাম)।

ওই শহরগুলির তুলনায় কিছুটা এগিয়ে থাকলেও, কলকাতার প্রতি ঘন মিটার বাতাসে রয়েছে ৭৪ মাইক্রোগ্রাম ওজনের দূষণ কণা। মানে, স্বাভাবিকের চেয়ে সাড়ে ৭ গুণ বেশি।

কলকাতার তুলনায় অবশ্য শ্বাসের বাতাস অনেক বেশি স্বস্তিকর আমদাবাদ (৬৫ মাইক্রোগ্রাম), মুম্বই (৬৪ মাইক্রোগ্রাম), চেন্নাই (৪৯ মাইক্রোগ্রাম), বেঙ্গালুরু (৪৬ মাইক্রোগ্রাম) ও হায়দরাবাদে (৪৪ মাইক্রোগ্রাম)।

যদিও এই ৫টি শহরের বাতাসই স্বাভাবিকের চেয়ে সাড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৬ গুণ বেশি দূষিত। যার অন্যতম প্রধান কারণ, কাঠ, কয়লায় রান্নাবান্না, কাঠের আগুনে গা সেঁকা এবং কেরোসিনের কুপি বা লন্ঠন ব্যবহারের মতো গ্রামাঞ্চলের গার্হস্থ্য অভ্যাস। গ্রামের সেই দূষিত বাতাসই বিষিয়ে দিচ্ছে লাগোয়া শহরগুলির পরিবেশ।

দুই মূল গবেষক দিল্লি আইআইটির সেন্টার ফর অ্যাটমস্ফেরিক সায়েন্সের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সাগ্নিক দে ও বার্কলের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কার্ক স্মিথ আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানিয়েছেন, এই গবেষণা চালানো হয়েছে ২০০০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত, ১৭ বছর ধরে। ১৭ বছরের তথ্যের ভিত্তিতে। ভারতের বিভিন্ন শহর ও গ্রামগুলির বাতাসে অত্যন্ত বিপজ্জনক দূষণ কণার মাত্রা জানতে গবেষকদের সাহায্য করেছে নাসার ‘টেরা’ ও আমেরিকার ভূ-পর্যবেক্ষণ উপ্গ্রহ ব্যবস্থার সুবিশাল নেটওয়ার্ক।

'হু'-র মানদণ্ডের ৭ ভাগের মাত্র ১ ভাগে পৌঁছতে পেরেছি আমরা

বাতাসে ভেসে থাকা দূষণ কণার উপর নিয়মিত নজর (কনটিনিউয়াস মনিটরিং) রাখার জন্য ‘হু’-র একটি গাইডলাইন রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রতি ১০ লক্ষ মানুষের জন্য নিয়মিত নজরদারির অন্তত ১টি কেন্দ্র থাকা উচিত। অথচ, ১২০ কোটি মানুষের এই দেশে সেই নিয়মিত নজরদারির কেন্দ্র রয়েছে সাকুল্যে ১৩০টি। যার অর্থ, প্রতি ৭০ লক্ষ মানুষ-পিছু নিয়মিত নজরদারির ১টি কেন্দ্র রয়েছে। সহজ কথায়, এত দিনে ‘হু’-র মানদণ্ডের ৭ ভাগের মাত্র এক ভাগে পৌঁছতে পেরেছি আমরা। হ্যাঁ, এই একুশ শতকের তৃতীয় দশকে পা দেওয়ার প্রাক মুহূর্তেও।

নজরদারির কেন্দ্র নেই ভারতের কোনও গ্রামেই

যেটা আরও চমকে দেওয়ার মতো তথ্য, তা হল- ভারতের কোনও প্রান্তের কোনও গ্রামেই এই ধরনের নিয়মিত নজরদারির কেন্দ্র নেই একটিও। অথচ, দূষণের নিরিখে বিশ্বের এক নম্বর দেশ চিনে গত ৫ বছরেই নিয়মিত নজরদারির কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজারও ছাড়িয়ে গিয়েছে।

সূত্র: 'পিন্যাস' জার্নাল, ২০১৯

গবেষকরা শুধুই সমস্যার কথা বলেননি। বাতলেছেন সমাধানের উপায়ও। আলাদা আলাদা ভাবে পরিসংখ্যান দিয়ে দেখিয়েছেন, কাঠ, কয়লার আগুনে রান্নাবান্না বন্ধ হলে কতটা কমানো সম্ভব হবে বাতাসে দূষণ কণার পরিমাণ। আর তার ফলে কতটা কমানো যাবে মৃত্যুর সংখ্যা। একই ভাবে সেই হিসেবটা তাঁরা কষে দেখিয়েছেন, কাঠের আগুনে গা সেঁকা বন্ধ হলে কী হবে, কেরোসিনের লন্ঠন ও কুপির ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ হলে কী হবে, সেটাও।

গ্রামের দূষণ কমলে লাভ কী কী?

অন্যতম মূল গবেষক সাগ্নিক জানাচ্ছেন, মূলত তিনটি সুবিধা রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে বাড়িতে বাড়িতে কাঠ ও কয়লায় উনুনে রান্নাবান্না বন্ধ হওয়াটা সবচেয়ে বেশি জরুরি। তার জন্য অবশ্য হালে কেন্দ্রীয় সরকার চালু করেছে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা। সেই প্রকল্পে ঘরে ঘরে এলপিজি সিলিন্ডার দ্রুত পৌঁছে দিতে হবে। যাতে কাঠ, কয়লায় উনুনে রান্না পুরোপুরি বন্ধ করানো যায়। তাতে শীতের রাতে কাঠের আগুনে গা সেঁকাও বন্ধ করানো সম্ভব হবে। গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণও করতে হবে ১০০ শতাংশ। একই সঙ্গে এটাও সুনিশ্চিত করতে হবে, যাতে দিনে-রাতে ২৪ ঘণ্টাই বিদ্যুত থাকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে। তার ফলে, কেরোসিনে কুপি বা লন্ঠন জ্বালানোর অ্ভ্যাস বন্ধ করা যাবে।

এই সবের ফলে গ্রামাঞ্চলের পরিবেশ অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠবে। ঘর ও বাইরের বাতাস বিশুদ্ধ হয়ে উঠবে। একই সঙ্গে গ্রামাঞ্চলের গার্হ্যস্থ দূষণের জেরে যে রোগগুলি হচ্ছে এবং বেড়ে চলেছে, সেই শিশুদের শ্বাসকষ্ট, স্ট্রোক, নানা রকমের হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যানসার, চোখে ছানি পড়ার ঘটনার সংখ্যাও দ্রুত কমানো সম্ভব হবে।

সৌরশক্তি বা বায়ুশক্তিও হতে পারে বড় ভরসা

সাগ্নিকের কথায়, "এই সবের পরেও অবশ্য 'হু'-র মানদণ্ডের ৪ গুণ উপরেই থাকবে এ দেশের গ্রামাঞ্চল ও শহরগুলির বাতাসের গুণমান।"

তবে সৌরশক্তি এ ব্যাপারে বড় ভরসা হয়ে উঠতে পারে। এমনটাই বলছেন ক্যালিফোর্নিয়ার এয়ার রিসোর্সেস বোর্ডের বিশেষজ্ঞ, পরিবেশ বিজ্ঞানী সুলেখা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, "এক দশক আগেও সৌরশক্তির যে খরচ ছিল, এখন তা অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। ভারতের অন্ধ্রপ্র্দেশেই রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম সৌরশক্তি পার্ক। যার ক্ষমতা ১ হাজার মেগাওয়াট। কোচিনে রয়েছে বিশ্বের প্রথম সৌরশক্তি চালিত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। যেখানে ৪৬ হাজার সৌর প্যানেলের মাধ্যমে ১২ মেগাওয়াট সৌরশক্তি তৈরি করা সম্ভব। ফলে, সৌরশক্তির মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর রাস্তা ভারতের সামনে খোলা রয়েছে। এলপিজি সিলিন্ডার দ্রুত গ্রামাঞ্চলের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব না হলে, সৌরশক্তির ব্যবহারকে আরও বাড়িয়ে তুলতে হবে।"

সুলেখার মতে, বায়ুশক্তি বা উইন্ড এনার্জির উতপাদনও ভারত বাড়াতে পারেএই সমস্যার মোকাবিলায়। ভারতের উইন্ড এনার্জি উতপাদনের ক্ষমতা ৩২ গিগা ওয়াট। এ ব্যাপারে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম দেশ ভারত। এই উইন্ড এনার্জিকে ২০২২ সালের মধ্যে ৬০ গিগা ওয়াটে বাডানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ ও তিয়াসা দাস

GHG Carbon Dioxide Global Warming Sagnik Dey সাগ্নিক দে কার্ক স্মিথ Household Emissions
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy