রাহুলের ব্যাখ্যা চায় সুপ্রিম কোর্ট

প্রথম দফার ভোটগ্রহণের ঠিক আগে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, রাফাল চুক্তি সংক্রান্ত প্রকাশ্যে আসা নতুন নথি আদালত খতিয়ে দেখবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৩৫
Share:

ছবি: এএফপি।

রাফাল মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের পরে রাহুল গাঁধীর মন্তব্য নিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা চাইল সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

আদালত রাফাল-চুক্তি সংক্রান্ত প্রকাশ্যে আসা নতুন নথি খতিয়ে দেখতে রাজি হওয়ায় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘আজ কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে চৌকিদার চুরি করিয়েছেন।’’ প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে সেই মন্তব্যের পরেই সুপ্রিম কোর্টে রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষি লেখি। আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে লেখির যুক্তি, সুপ্রিম কোর্টকে উদ্ধৃত করে রাহুল বলছেন যে চৌকিদার চোর হ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ আজ এ বিষয়ে রাহুলের ব্যাখ্যা চেয়ে বলে, ‘‘আমরা স্পষ্ট করতে চাই, যে মন্তব্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই ধরনের কোনও মন্তব্য, মত সুপ্রিম কোর্ট জানায়নি। আদালত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা একেবারেই কিছু নথি খতিয়ে দেখার আইনি প্রশ্নে, যেখানে অ্যাটর্নি জেনারেলের আপত্তি ছিল।’’

প্রথম দফার ভোটগ্রহণের ঠিক আগে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, রাফাল চুক্তি সংক্রান্ত প্রকাশ্যে আসা নতুন নথি আদালত খতিয়ে দেখবে। মোদী সরকার ওই নথিকে ‘চুরি যাওয়া’, ‘বেআইনি ভাবে হস্তগত করা’ বলে আখ্যা দিয়ে খারিজ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ওই নথি খতিয়ে দেখেই রাফাল-চুক্তিতে সিবিআই তদন্তের আর্জির রায়ের পুনর্বিবেচনা হবে। এর আগে তদন্তের আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। এর পরেই রাহুলের মন্তব্য। তার পর কংগ্রেসও সুপ্রিম কোর্টের রায়কে হাতিয়ার করে মাঠে নামে।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আজ একই ভাবে মাঠে নেমেছে বিজেপি। প্রথমে অরুণ জেটলি রাহুলকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ‘বানিয়ে তৈরি করা’-র জন্য দোষারোপ করেন। তাঁর মন্তব্য, দেশে বাকস্বাধীনতার অধিকার রয়েছে। মিথ্যে বলার অধিকার নেই। দেশের গণতন্ত্র পরিবারবাদীদের মিথ্যে বলার অধিকার দেয়নি। তাঁর কটাক্ষ, এমন মন্তব্য করে রাহুলের যত অধঃপতন হবে, বিজেপির ততই উত্থান হবে।

এর পরে রবিশঙ্কর প্রসাদ ও প্রকাশ জাভড়েকর দাবি তুলেছেন, এ বার নির্বাচন কমিশনও রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের জন্য ব্যবস্থা নিক। রবিশঙ্করের যুক্তি, কেউই মিথ্যে অভিযোগ আনতে পারে না। সাংবিধানিক সংস্থাকে টেনে এনে প্রচার করতে পারে না। বস্তুত কংগ্রেস যেমন ১০ এপ্রিলের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে নিজেদের জয় হিসেবে তুলে ধরেছিল, একই ভাবে বিজেপি আজকের নির্দেশকে নরেন্দ্র মোদীর জয় হিসেবে তুলে ধরেছে। কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির যুক্তি, ‘‘এটা সুপ্রিম কোর্টের নোটিস, বিজেপি তাকে রায় ভেবে লম্ফঝম্ফ করছে। রাহুল গাঁধী কী বলেছেন, তাঁর কী অভিপ্রায়, সেটা বিজেপি আদালতে বিকৃত করেছে। এর সামগ্রিক, জোরালো, কার্যকর জবাব দেওয়া হবে। রাহুল বা কোনও নেতা নিশ্চয়ই বলতে চাইছেন না যে আদালত রাজনৈতিক মন্তব্য করে। রাহুল গাঁধী যা বলেছেন, তা সকলেই জানে। তার ভিডিয়োও সকলের সামনে রয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন