ছবি: সংগৃহীত।
নরেন্দ্র মোদীর জীবনীচিত্র ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’ পুরোটা দেখে তবে সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সুপ্রিম কোর্ট । সুপ্রিম কোর্ট আজ নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে, সম্পূর্ণ ছবিটি দেখে আদালতকে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট দিতে হবে।
কমিশন গত সপ্তাহে নির্দেশ দিয়েছিল, লোকসভা নির্বাচন শেষ না-হওয়া পর্যন্ত দেশের কোথাও প্রধানমন্ত্রীর জীবনী-চিত্র মুক্তি পাবে না। নির্দেশিকায় কমিশন বলেছিল, কোনও জীবনী-চিত্র যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয় এবং তা যদি কোনও প্রার্থী বা ব্যক্তির স্বার্থ চরিতার্থ করে, তা হলে তা রাজনৈতিক পরিবেশ বা ভারসাম্য বিঘ্নিত করতে পারে। কমিশনের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ছবির নির্মাতারা। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ আজ বলেছে, পুরো ছবিটি দেখুক কমিশন। তার পর সিদ্ধান্ত নিক এবং সেই সিদ্ধান্ত মুখবন্ধ খামে আগামী ১৯ এপ্রিলের মধ্যে জমা দিক আদালতে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২২ এপ্রিল।
ছবি নির্মাতাদের পক্ষে আইনজীবী মুকুল রোহতগি আজ আদালতে দাবি করেন, কমিশন ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’ ছবিটি পুরো দেখেনি। শুধু ছবির প্রোমো দেখেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি আদালতে প্রস্তাব দেন, কমিশনের আধিকারিকদের ছবিটি দেখানোর জন্য আগামিকাল অথবা বুধবার প্রযোজকেরা বিশেষ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে ইচ্ছুক। যাতে কমিশন শুক্রবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কমিশনের আইনজীবী অমিত শর্মার কাছে ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায়, ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’ ছবিটি কমিশন দেখেছে কি না! জবাবে অমিত জানান, পুরো ছবিটি পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ছবির ট্রেলার দেখেই মুক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
প্রসঙ্গত, গত ৯ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ বলেছিল, ‘‘সেন্সর বোর্ড এখনও ওই ছবিকে ছাড়পত্র দেয়নি। ‘আগেভাগে’ ওই আবেদনটি করা হয়েছে। সেই জন্যই পিটিশনটি গ্রহণের উপযুক্ত মনে করছি না।’’ ছবির মুক্তি বন্ধের আবেদন প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ওই ‘অযৌক্তিক বিষয়ে’ আদালতের অনেক বেশি সময় নষ্ট হচ্ছে। ছবিটির মুক্তি নিয়ে কিছু বলার থাকলে তার ‘উপযুক্ত’ জায়গা কমিশন বলেও পরামর্শ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
এরই মধ্যে মোদীর জীবনী-চিত্র নিয়ে যে সব ওয়েব সিরিজ চলছে সে ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।