ইন্ডাস্ট্রিতে কী কী সহ্য করতে হয় রাধিকাকে? ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রীদের অন্যতম রাধিকা আপটে। প্রথম সারির নায়িকাদের মধ্যে স্থান না পেলেও, ছকভাঙা অভিনেত্রী হিসাবে রাধিকা জনপ্রিয়। সম্প্রতি হিন্দি সিনেদুনিয়ায় ২০ বছর পূর্ণ করলেন রাধিকা। ২০০৫ সালে ‘ওয়াহ্ লাইফ হো তো অ্যায়সি’ ছবির মাধ্যমে হিন্দি ছবিতে আত্মপ্রকাশ করেন। এত বছরের কর্মজীবনে কম হেনস্থার শিকার হতে হয়নি তাঁকে।
মাসকয়েক আগেই এক সাক্ষাৎকারে রাধিকা জানান, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শুটিং করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল তাঁকে। অভিনেত্রী জানান, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর পেয়ে তিনি আনন্দিত হতে পারেননি, বরং অস্বস্তিতেই পড়তে হয়েছিল তাঁকে। রাধিকা বলেছেন, “প্রযোজক মোটেই খুশি হননি এই খবর পেয়ে। আমি মোটা হয়ে গিয়েছিলাম। শরীরে যন্ত্রণা ছিল। সবসময় খিদে পেত। তা সত্ত্বেও চাপা পোশাক পরতে বলা হত আমাকে।’’
জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেও প্রযোজকদের চাপের শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী। রাধিকা বলেন, ‘‘আমাকে প্রযোজকেরা সেট থেকে উঠতে দিতেন না। কোনও চুক্তিপত্র দেননি প্রথম ছবির জন্য। আমার মা চুক্তিপত্র চাইলে বলা হয়েছিল, ঊর্মিলা মাতন্ডকর চুক্তিপত্র চান না, আমি আবার এমন কে? যদিও আমাকে সেই সময়ে সাহায্য করেন ছবির পরিচালক মহেশ মঞ্জরেকর।’’
এই মুহূর্তে ওটিটি থেকে বড়পর্দায় সমান বিচরণ তাঁর। ‘লাস্ট স্টোরিজ়’, ‘সেক্রেড গেম্স’, ‘ঘোল’ -এর মতো কাজ রয়েছে তাঁর ওটিটি মঞ্চে। অভিনয়জগতে আসার আগে নাচ ও নাটকের মঞ্চে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন রাধিকা। পুণেতে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নেওয়াও শুরু করেন। এর পরে তাঁর প্রথম বড়পর্দার কাজ— বাংলা ছবি ‘অন্তহীন’। হিন্দি সিনেমায় ‘শোর’, ‘বদলাপুর’, ‘হান্টার’, ‘প্যাডম্যান’, ‘অন্ধাধুন’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন। গত বছর মা হন রাধিকা। তার আগে নিজের স্ফীতোদরের ছবি প্রকাশ্যে আনেন অভিনেত্রী। কটাক্ষের শিকারও হয়েছিলেন তা নিয়ে।