গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
আগে তাঁর মুখ দেখে মানুষকে ভোট দিতে বলতেন। এখন নিজেই ভোট চাইছেন পুলওয়ামা দেখিয়ে। বায়ুসেনাদের বীরত্বের কথা বলে। এত দিন যাঁকে ঘৃণা করে এসেছেন, ভোট চাইছেন সেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সম্পর্কে এই তির্যক মন্তব্য করলেন লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদব।
এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তেজস্বী বলেছেন, ‘‘যে ভাবে সংরক্ষণকে মূল্যহীন করে দেওয়া হচ্ছে, তাতে ওঁর নিজের জায়গা নালন্দার মানুষই এখন আর ভরসা রাখতে পারছেন না নীতীশ কুমারের উপর। এত দিন সরকার চালানোর জন্য নিজেকে দেখিয়ে ভোট চাইতেন। কিন্তু এ বার আর সেটা করতে পারছেন না। ভোট চাইছেন পুলওয়ামা কাণ্ড, বায়ুসেনাদের বীরত্বের কথা বলে। এক সময় যাঁকে ঘৃণা করতেন, ভোট চাইছেন সেই মোদীর নাম করে। তা হলে ওঁর (নীতীশ কুমার) সুন্দর মুখটা গেল কোথায়?’’
আরও পড়ুন- ‘বন্ধু’ শরদকে হারানোই এখন নীতীশের চ্যালেঞ্জ
আরও পড়ুন- নীতীশ প্রধানমন্ত্রী হলে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী! প্রস্তাবিত জোটের শর্ত ফাঁস করলেন রাবড়ি
তেজস্বীর হিসাববহির্ভূত সম্পত্তি নিয়ে অভিযোগের জেরে নীতীশ কুমারের সঙ্গে মহাজোট ভেঙে যায় লালুপ্রসাদের দল আরজেডি এবং কংগ্রেসের। বিহারে সেই জোট সরকারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তেজস্বী। তার পর দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বছরদু’য়েক আগে জেলে যান লালুপ্রসাদ। কিন্তু তার পর থেকেই দিল্লির রাজনৈতিক মহল ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর সঙ্গে আরজেডির সম্পর্কটাকে মজবুত রাখার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়ে চলেছেন তেজস্বীই।
বিজেপি যে জাতীয়তাবাদকে এ বার তাদের ভোট প্রচারের বড় হাতিয়ার করে তুলেছে তাকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তেজস্বী। বলেছেন, ‘‘ওটাই কি জাতীয়তাবাদের প্রথম ও শেষ কথা? আমি মনে করি, আমাদের দেশের কৃষকদের রোজগার যদি দ্বিগুণ হয়, তা হলে সেটাও জাতীয়তাবাদ। দারিদ্র্য পুরোপুরি দূর করা সম্ভব হলে সেটাও জাতীয়তাবাদ। বেকার যুবকরা চাকরি পেলে তাঁরা এগিয়ে যেতে পারেন। দেশও শক্তিশালী হয়। সেটাও জাতীয়তাবাদ।’’
এ বার কে হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী? প্রশ্নের জবাবে তেজস্বী বলেছেন, ‘‘লোক জানতে চান, বরটা কে? আমরা বলি, কনে কে? সেটা আগে বলুন। বর তৈরি আছে। কবে বিয়েটা হবে, সেটাও ঠিক হয়ে রয়েছে। শুধু কনেটা কে সেটাই আমরা জানতে চাইছি।’’