পাক-সুরে কথা বলছেন ভেজাল নেতারা: মোদী

বিহারে মহাজোট তৈরি করে নির্বাচনের লড়াইয়ে নেমেছে বিরোধীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৫২
Share:

পরামর্শ: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওড়িশার বিজেপি সভাপতি বসন্তকুমার পণ্ডা। মঙ্গলবার কালাহান্ডীর সভায়। ছবি: পিটিআই।

বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সুরে কথা বলার অভিযোগ তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের সাধারণ মানুষ এ বার বিরোধীদের শিক্ষা দেবে বলেও দাবি করলেন তিনি। আজ বিহারের জামুই এবং গয়ায় সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। গয়ার সভায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হাজির ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। আজ থেকে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারও শুরু করলেন নীতীশ। গত ৩ মার্চ পটনার গাঁধী ময়দানে এনডিএ-র সভার পরে এক মাসের মাথায় ফের গয়ার গাঁধী ময়দানে এক মঞ্চে এসে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন দুই নেতা।

Advertisement

বিহারে মহাজোট তৈরি করে নির্বাচনের লড়াইয়ে নেমেছে বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রী মোদী সেই মহাজোটকে এ দিন আক্রমণ করেন। মহাজোটকে ফের ‘মহাভেজাল’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। মোদীর কথায়, ‘‘দেশের কিছু ভেজাল নেতা পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছেন। এঁরাই সমঝোতা বিস্ফোরণের মতো জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের ভূমিকা লুকিয়ে রেখে ‘হিন্দু আতঙ্কবাদ’ শব্দ জুড়ে দিয়েছেন।’’ কেন্দ্রে ইউপিএ সরকারের সময়ে নিয়মিত দেশে জঙ্গি হামলা হত বলে উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘‘২০১৪ সালের পরে এই হামলা বন্ধ হয়েছে।’’ চৌকিদার প্রসঙ্গও এ দিনের সভায় ফের তোলেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘চৌকিদার পুরো দৃঢ়তার সঙ্গে জঙ্গিদের মোকাবিলা করছে। আতঙ্কবাদের সামনে মাথা কখনও নোয়াইনি, নোয়াবো না।’’ মাঠে থাকা দলীয় সমর্থকদের দিয়ে এ দিনও ফের ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ স্লোগান দেওয়ান তিনি। সারা পৃথিবীর লোক চৌকিদারকে আশীর্বাদ দিচ্ছে বলেও দাবি প্রধানমন্ত্রীর।

দীর্ঘদিন ধরেই গয়াতে মাওবাদী সমস্যা রয়েছে। সভায় সে প্রসঙ্গও তোলেন মোদী। মহাজোটের নেতাদের নিশানা করে মোদী বলেন, ‘‘এই লোকেরাই নকশালদের সমর্থন করে চলেছে। দেশে হত্যার রাজনীতিকে উৎসাহ দেওয়ার এই মানসিকতাকে শেষ করব।’’ মোদীর সঙ্গে গয়ার সভায় গলা মেলান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশও। বলেন, ‘‘বিহারে উন্নয়নের জন্য এনডিএ প্রার্থীদের ভোট দিন। গত এক বছরে রাজ্যের শুধু রাস্তা তৈরিতে কেন্দ্র সরকার ৫৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। গ্রামে গ্রামে রান্নার গ্যাস পৌঁছেছে। বিদ্যুৎ পৌঁছেছে।’’ জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্যই এনডিএ প্রার্থীদের ভোট দেওয়া প্রয়োজন বলে দাবি করেন তিনি। এ দিনের সভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাশোয়ান, উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী। ছিলেন প্রার্থীরাও।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement