বিজেপি নেতা জয়করণ গুপ্ত।
নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে দেশের নানা প্রান্তে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক নেতাদের পরস্পরের বিরুদ্ধে কটূক্তির সংখ্যাটাও।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মেরঠে এক জনসভায় গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা জয়করণ গুপ্ত। সেখানে নাম না করে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে ‘স্কার্ট ওয়ালি বাঈ’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি ওই জনসভায় জয়করণ বলেন, “কংগ্রেসের এক নেতা চিত্কার করে জিজ্ঞাসা করছেন ‘অচ্ছে দিন’ এসেছে? ওঁরা অচ্ছে দিন দেখতে পান না।” এরই সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ স্কার্ট পরিহিতরা এখন শাড়ি পরে মন্দির দর্শনে যাচ্ছেন। যাঁরা গঙ্গাকে এত দিন এড়িয়ে চলতেন, তাঁরাই এখন আবার গঙ্গাকে পবিত্র বলেছেন!”
এই ধরনের মন্তব্যের পরই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে জয়করণকে। কার্যত চাপে পড়েই তিনি পাল্টা দাবি করেন, নির্দিষ্ট ভাবে কাউকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করেননি। শুধু এটাই বলতে চেয়েছেন স্কার্ট পরা যে বাঈ মন্দির যেতে ইতস্তত করতেন, তিনিই এখই শাড়ি পরে মন্দির যাচ্ছেন। এই উক্তিটি কার সঙ্গে খাপ খাচ্ছে, শুধু এ কথাটাই বোঝাতে চেয়েছেন তিনি।
এই প্রথম নয়, রাজনীতিতে পা রাখারা পর পরই নানা কটূক্তি উড়ে এসেছে প্রিয়ঙ্কার দিকে। কখনও পোশাক নিয়ে, কখনও ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করা হয়ছে তাঁকে। গত মাসেই উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা হরিশ দ্বিবেদী প্রিয়ঙ্কার পোশাক নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি বলেন, “দিল্লিতে থাকলে উনি জিন্স-টপ পরেন, কিন্তু গ্রামে গেলেই শাড়ি-সিঁদুর পরেন।”
আরও পড়ুন: ‘নমো টিভি’ নিয়ে নোটিস কমিশনের, ‘চ্যানেল নয়, বিজ্ঞাপনী প্ল্যাটফর্ম’, বলল কেন্দ্র
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আরও শীর্ষ এক বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, “কংগ্রেসের কোনও শক্তিশালী নেতা নেই। তাই ‘সুন্দরী’ এনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছে।” তাঁর এই মন্তব্যের পর তুমুল সমালোচনার ঝড় ওঠে। যদিও বিজয়বর্গীয় পরে দাবি করেন, তিনি কোনও রাজনৈতিক নেতাকে বোঝাতে চাননি। আসলে তিনি ফিল্ম তারকাদের কথাই বোঝাতে চেয়েছেন। বিজয়বর্গীয় এমন মন্তব্যের পাল্টা কটাক্ষ করেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার। তিনি বলেন, “বিজেপির দুর্ভাগ্য যে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর মতো কোনও সুন্দরী তাদের দলে নেই। তাদের দলে হেমা মালিনী আছেন, ভোটের জন্য বিজেপি যাঁকে ধ্রুপদী সঙ্গীতের তালে নাচাচ্ছে।”