বিনোদ জুত্সি।
ভোটের ১৩ দিন পর পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের সার্বিক ভোট প্রক্রিয়ার বিশেষ পর্যালোচনা শুরু করল নির্বাচন কমিশন। দ্বিতীয় তথা শেষ পর্বের ভোটের আগের দিন কমিশন প্রাক্তন ডেপুটি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বিনোদ জুৎসিকে বিশেষ পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করে ত্রিপুরায় পাঠান। শেষ পর্বের ভোট মিটেছে শান্তিতেই। এ বার তিনি নতুন করে প্রথম দিনের ভোট প্রক্রিয়াকে খতিয়ে দেখছেন।
উল্লেখ্য, প্রথম পর্বের ভোটকে ঘিরে রাজ্যের শাসক জোটের প্রধান শরিকের বিরুদ্ধে ব্যাপক ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে কর্তব্যরত পুলিশ ও ভোটকর্মীদের গাফিলতি নিয়েও। কার্যত এই চাপের মুখেই ১৮ এপ্রিলের শেষ পর্বকে পিছিয়ে ২৩ এপ্রিল করা হয়। সরিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা)-কেও। নতুন করে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। একটি আসনেই ৬৪টি কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোট গ্রহণ করা হয়।
গতকালের ভোট মিটতে না মিটতেই, সন্ধ্যায় পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের রিটার্নিং অফিসার তথা জেলাশাসক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, বিশেষ পর্যবেক্ষক বিনোদ জুৎসি বুধবার সকাল থেকে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের ভোট সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট, নথি, ভিডিয়ো ফুটেজের বিশেষ পর্যালোচনা করবেন। সকাল সাড়ে দশটায় সব সহকারি রিটার্নিং অফিসারদের জেলাশাসকের দফতরের কনফারেন্স রুমে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। তাঁদের ভোট সংক্রান্ত সব কিছু নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ওয়েব ক্যামেরার সমস্ত মেমরি কার্ডও নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, সিপাহিজলা, গোমতী ও দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসকদেরও ওই বৈঠকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আজ সারাদিন ধরেই জুৎসি বৈঠক করেন। সব তথ্য পর্যালোচনা করে দেখেন। তবে এ ব্যাপারে তিনি বা কমিশনের প্রতিনিধিরা রাত পর্যন্ত সরকারি ভাবে মুখ খোলেননি।
তবে কমিশনের এক সূত্র জানিয়েছেন, তথ্য, নথি ও ভিডিয়ো ফুটেজ যাচাই করার কাজ চলছে। সব কিছু পর্যালোচনা করে জুৎসি কয়েক দিনের মধ্যেই দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে তাঁর রিপোর্ট জমা দেবেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের ভোট নিয়ে কমিশনই চূড়ান্ত
সিদ্ধান্ত নেবেন।