ব্রিগেডিয়ার কুলদীপ সিংহ চাঁদপুরী। (বাঁ দিকে) বর্ডার ফিল্মের একটি দৃশ্যে সানি দেওল। ছবি: সংগৃহীত।
মারা গেলেন ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের সেই নায়ক ব্রিগেডিয়র কুলদীপ সিংহ চাঁদপুরী। রবিবার সকালে পঞ্জাবের মোহালির একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
১৯৭১ সালে ৪ ডিসেম্বর। ভারত-পাক আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্গেওয়ালা। গভীর রাতেও অতন্দ্র প্রহরায় ভারতীয় জওয়ানেরা। ঠিক তখনই লেফ্টেন্যান্ট ধরমবীর ভানের কাছে খবর পৌঁছয় আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে বিশাল সামরিক বাহিনী নিয়ে লঙ্গেওয়ালার দিকে এগিয়ে আসছে পাকিস্তান। প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের হাতে ২০০০ সেনা,সশস্ত্র বাহিনী। তার সামনে ভারতের মাত্র ১২০ জওয়ানের টিকে থাকা অসম্ভব।
মেজর চাঁদপুরীকে ব্যাটেলিয়ন নিয়ে পিছু হঠতে নির্দেশ দেন লেফ্টেন্যান্ট। কিন্তু ভীরুর মতো পিছু না হঠে সেই যৎসামান্য বাহিনী নিয়েই রুখে দাঁড়িয়েছিলেন মেজর। অদম্য লড়াইয়ে পাকিস্তানকে প্রায় গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনিই।
আরও পড়ুন: স্টেজ থ্রি ক্যানসারে আক্রান্ত নাফিসা আলি, জানালেন নিজেই
সেই রাতে তাঁর লড়াইয়ের কাহিনী নিয়েই তৈরি হয়েছিল বলিউড ফিল্ম ‘বর্ডার’। ফিল্মে মেজর কুলদীপ সিংহ চাঁদিপুরীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সানি দেওল।ভারত-পাক ওই যুদ্ধের পর তাঁকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান মহাবীর চক্র-এ সম্মানিত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রাফাল নিয়ে ১৫ মিনিট বিতর্ক করুন! একটি প্রশ্নেরও উত্তর দিতে পারবেন না মোদী, বললেন রাহুল
সে দিনের সেই যুদ্ধের কথা ফিল্ম ‘বর্ডারের’ সৌজন্যে আমাদের সকলেরই জানা। রাত আড়াইটা নাগাদ পাকিস্তান সেনার হামলা করার পর ভোর পর্যন্ত মাত্র ১২০ জওয়ান নিয়েই তিনি রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। পাক সেনার পরিকল্পনা ছিল লঙ্গেওয়ালাতে ব্রেকফাস্ট, জয়সলমীরে লাঞ্চ এবং যোধপুরে ডিনার। কিন্তু সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেন তিনি। টানা লড়াই চালানোর পর ভোর হলে বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান উড়ে আসে এবং একের পর এক বোমা ফেলে গুড়িয়ে দেয় পাকিস্তানের ট্যাঙ্কারগুলো। জয় হয় ভারতের।
আরও পড়ুন: আকাশ থেকেই ধ্বংস করা যাবে শত্রু ডুবোজাহাজ, অ্যান্টি সাবমেরিন চপার কিনবে ভারত
পাকিস্তানের ২০০ সেনা মারা যায়, ৩৬টি ট্যাঙ্ক এবং ৫০০ বেশি গাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তুলনায় ভারতের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল অনেকটাই কম। মেজর চাঁদপুরী ব্রিগেডিয়র পদে উত্তীর্ণ হওয়ার পর অবসর নেন।