প্রথম দেখাতেই প্রেম! সকালে আলাপ। আর সন্ধেয় প্রেম নিবেদন। প্রথমটায় সাড়া না মিললেও মাসচারেকের মধ্যেই প্রেমে সায়। এ ভাবেই এগিয়েছে টিনা আর আতহারের প্রেমকাহিনি। ২০১৫-এর ইউপিএসসি-তে টপার টিনা দাবির সঙ্গে ছাদনাতলায় বসছেন দ্বিতীয় স্থানাধিকারী আতহার আমির-উল-সফি খান।
২২ বছরের টিনা জানিয়েছেন, খবরটা পাকা। তবে বিয়ের দিনক্ষণ এখনও ঠিক করা হয়নি। আর যুগলের ঘোষণা, এর মাঝেই এনগেজমেন্টটা সেরে ফেলতে চান তাঁরা। কবে হবে তা? মিষ্টি হেসে টিনা বলেন, “খুব তাড়াতাড়িই!”
ইউপিএসসি-তে এক নম্বর হওয়ার পর টিনা আপাতত ব্যস্ত মুসৌরিতে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি ফর অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এ ট্রেনিং নিতে। সেখানে থেকেই জানালেন, দু’জনের প্রথম দেখা নয়াদিল্লিতে। নর্থ ব্লকের ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং (ডিওপি)-এর অফিসে। ১১ মার্চ সেখানেই ছিল তাঁদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। টিনা বলেন, “আতহারের তরফে ছিল, লভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট! আমাদের দেখা হয়েছিল সকালে আর সন্ধে গড়াতে না গড়াতেই আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় আতহার।” তবে প্রথমেই তাতে সাড়া দেননি টিনা। অগস্টে গিয়ে শেষমেশ আতহারের প্রস্তাবে সায় দেন তিনি। দেরি হলেও নিজের সিদ্ধান্তে খুশি টিনা। তিনি বলেন, “আতহার যে শেষমেশ হাল ছাড়েনি তার জন্য আমি কিন্তু ওঁকে প্রতি দিন ধন্যবাদ জানাই। আতহার সত্যিই খুব ভাল ছেলে।”
তবে আতহার-টিনার সম্পর্কের পথে কাঁটাও কম নেই। ফেসবুকে তাঁদের ছবি পোস্ট করতে অভিনন্দনের বন্যা যেমন বয়ে গিয়েছে। নিন্দাতেও মুখর হয়েছেন অনেকেই। কেন? দলিত টিনার সঙ্গে কাশ্মীরি মুসলিম পরিবারের ছেলে আতহারের এই সম্পর্ক নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতেও ছাড়েননি অনেকে। তবে সে সব একেবারেই গায়ে মাখাতে রাজি নন টিনা।
আরও পড়ুন