শ্রীকান্তপ্রসাদ পুরোহিত
আট বছর আট মাস কারাবাসের পরে আজ জেল থেকে বেরোলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল শ্রীকান্তপ্রসাদ পুরোহিত। মালেগাঁও বিস্ফোরণের মামলায় জড়িয়ে এত দিন জেলে থাকার জন্য কাকে দোষ দিচ্ছেন সেনা অফিসার? পুরোহিতের বক্তব্য, ‘‘সবই আমার ভাগ্য।’’
২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্রে মালেগাঁওয়ে বিস্ফোরণে নিহত হন মোট সাত জন। সেই মামলায় অভিযুক্ত পুরোহিতকে গত পরশু শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গত কাল মালেগাঁও বিস্ফোরণের চার্জ গঠনের শুনানির জন্য জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) বিশেষ আদালতে তোলা হয়েছিল হয়েছিল তাঁকে। জামিনের শর্ত পুনর্বিবেচনা করে দেখার জন্য দুপুর নাগাদ পুরোহিতের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের কাছে আর্জি জানান। এনআইএ আদালত থেকে মুক্তির চিঠি পেতে-পেতে সন্ধে হয়ে যায়। তার পর সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ পুলিশের গাড়ি আদালত থেকে পুরোহিতকে ফের জেলে নিয়ে আসে। সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি তত ক্ষণে তাঁকে নিতে পৌঁছে গিয়েছিল তালোজা জেলের বাইরে। কিন্তু এ দিনই মুক্তি মিলবে না বুঝতে পেরে তারা ফিরে যায়। সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ নবি মুম্বইয়ের কাছে তালোজা জেল থেকে বেরিয়ে দক্ষিণ মুম্বইয়ের কোলাবায় একটি সেনা ছাউনির উদ্দেশে রওনা হন পুরোহিত। মিলিটারি পুলিশ ও সেনার গাড়ি এসকর্ট করে নিয়ে যায় তাঁকে।
মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত ১২ জনই ‘অভিনব ভারত’ সংগঠনের সদস্য। পুরোহিতের আইনজীবী আদালতে জানান, তিনি সেনাবাহিনীর চর হিসেবে ‘অভিনব ভারত’ সংগঠনের সদস্য হয়েছিলেন। ওই সংগঠনে তিনি কী কাজ করছেন তা সব সময়েই সেনাকর্তাদের জানিয়েছেন। তিনি ‘রাজনৈতিক লড়াইয়ের’ শিকার। মহারাষ্ট্র এটিএস তাঁকে অন্যায় ভাবে বিস্ফোরণ মামলায় জড়িয়েছে।