ছবি : সংগৃহীত।
তোয়ালের দু’পাশে দু’টি দাগ ভাল ভাবে লক্ষ করেছেন কখনও? তোয়ালে যতই নরম হোক এই দু’টি দাগের জায়গায় কোনও নরম ভাব থাকে না। কোনও রোঁয়া নেই। বাড়তি সুতো নেই। টান টান বোনা মজবুত কাপড়। যার একটা সুন্দর নামও আছে— ডবি বর্ডার। কিন্তু তোয়ালে তো আর পোশাক নয়। স্নানঘরেই তার ব্যবহার। লোকচক্ষুর আড়ালে। তার জন্য এমন আলাদা করে নকশা এবং তার নামকরণই বা করা কেন?
অকারণ নয়। তোয়ালেতে ডবি বর্ডার রাখার যথেষ্ট কারণ আছে। আর সেগুলি মোটেই তার নামের মতো মিষ্টি নয়। বরং বেশ বাস্তবসম্মত।
১। গা-হাত-পা-মুখ মোছা থেকে শুরু করে তাকে মুচড়ে ভিজে চুল শুকিয়ে নেওয়া। নিয়মিত কাচাকাচি এবং রোদে যেমন তেমন ভাবে মেলে রাখা— তোয়ালের সারা দিনের কাজ বেশ কঠিনই বলা যায়। কারণ পোশাকের ব্যাপারে মানুষ যতটা যত্নবান, তোয়ালের প্রতি ততটা নয়। ফলে তোয়ালের যে নরম অংশ, তা সহজেই ঝুলে পড়তে শুরু করে। দু’পাশের ওই মজবুত ভাবে বোনা অংশ দু’টিই তোয়ালের আকার ও আকৃতি ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তোয়ালের আয়ু দীর্ঘায়িত করে।
২। তোয়ালের নরম অংশে জল শোষণের সুবিধার জন্যই সুতোর ছোট ছোট লুপ বা গোলাকৃতি অংশ তৈরি করা হয়। কিন্তু ওই লুপে টান পড়লেই সুতো উঠে আসতে শুরু করে। তোয়ালের দু’পাশে মজবুত ভাবে বোনা অংশ দু’টি না থাকলে সব সুতো টান পড়লেই খুলে যেত সহজে। তোয়ালের নরম ভাব কয়েক দিনেই নষ্ট হয়ে যেত।
৩। তোয়ালে সুন্দর ভাবে পাট করে রাখতেও সুবিধা হয় ওই দু’টি দাগের জন্যই। সাধারণ পাতলা তোয়ালে যাতে ওই রিব বা ডবি বর্ডার থাকে না, সেগুলি পাট করার সময় অসমান হয়ে গেলেও যেতে পারে। কিন্তু ডবি বর্ডার থাকার কারণে তোয়ালে পাট করে গুছিয়ে রাখতেও সুবিধা হয়। বিশেষ করে হোটেলে তোয়ালে গুছিয়ে রাখার ক্ষেত্রে এটি কার্যকরী।
৪। তোয়ালের জল শোষণ করার ক্ষমতা বজায় রাখার জন্যও এই ডবি বর্ডার জরুরি। কারণ নরম অংশটির নরম ভাব বজায় থাকেই ওই ডবি বর্ডারের জন্য।