বিক্ষোভ: আটক করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিএমকে দলনেতা এম কে স্ট্যালিন-সহ দলের অন্য বিধায়কদের। বুধবার চেন্নাইয়ে। ছবি: পিটিআই।
আস্থা ভোটে বিধায়ক কেনাবেচা নিয়ে আলোচনার দাবিতে আজ তুমুল হইচইয়ের সাক্ষী থাকল তামিলনাড়ু বিধানসভা। স্পিকারের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলনেতা এম কে স্ট্যালিন-সহ ৮৬ জন বিধায়ককে মার্শাল ডেকে বার করে দেওয়া হয় বিধানসভা থেকে। কেন্দ্রের নয়া গবাদি নীতির পাশে দাঁড়ানোয় ইতিমধ্যেই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে ডিএমকে।
বিধায়ক কেনাবেচা নিয়ে এ বার নতুন করে সরকারের অস্বস্তি বাড়ালেন স্ট্যালিন। বিষয়টি নিয়ে সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
জয়ললিতার মৃত্যুর পরে ক্ষমতা দখল নিয়ে আড়াআড়ি ভেঙে গিয়েছে এডিএমকে। ক্ষমতা দখলের দৌড়ে এক সময়ে নেমেছিল পলানীস্বামী ও পনীরসেলভম গোষ্ঠী। সেই আস্থা ভোট ঘিরেও নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বিধায়কদের হাতাহাতি, স্পিকারের ধুতি-জামা ধরে টানাটানি, টেবিল-চেয়ার-মাইক্রোফোন ভাঙচুর —কিছুই বাদ পড়েনি তামিলনাড়ু বিধানসভায়। সেই আস্থা ভোটে জিতে তামিলনাড়ুর গদিতে বসেন পলানীস্বামী। পলানীর জয় নিয়ে মামলা চলছে। এ বার অভিযোগ, আস্থা ভোটে বিধায়কদের সমর্থন জোগাড়ে পলানী শিবির ঘুষ দিয়েছিল। একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম সেই ঘুষ কাণ্ডের ‘স্টিং অপারেশন’-ও করে। আজ সেই ঘুষ কাণ্ড নিয়ে স্ট্যালিন বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে চাইলে বিষয়টি বিচারাধীন বলে আবেদন খারিজ করে দেন স্পিকার পি ধনপাল। দাবিতে অনড় থাকেন স্ট্যালিন। শুরু হয়ে যায় হইচই। ওয়েলে নেমে আসেন অন্য ডিএমকে বিধায়কেরা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিধানসভায় উপস্থিত ৮৬ জন ডিএমকে বিধায়ককে (ডিএমকে-র মোট বিধায়ক সংখ্যা ৮৮) মার্শাল ডেকে বাইরে বার করে দেন স্পিকার। প্রতিবাদে বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে পথ অবরোধে বসেন স্ট্যালিন। আটক হন পুলিশের হাতে।
জয়ললিতার মৃত্যুর পর থেকেই দল ধরে রাখতে সমস্যায় ভুগছে এডিএমকে। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পলানীস্বামী শুরু থেকেই বিজেপির দিকে ঝুঁকে থাকায় হাতে অস্ত্র পেয়ে গিয়েছে ডিএমকে। অন্য অনেক রাজ্য যখন কেন্দ্রের গবাদি নীতির বিরুদ্ধে সরব, তখন নীরবতার রাস্তা বেছে নিয়েছে তামিলনাড়ুর শাসক দল। যার সুযোগ নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যে সরকারের নীতিকে একযোগে আক্রমণ শানিয়ে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছেন স্ট্যালিন। আর এ দিন বিধায়ক কেনাবেচা নিয়ে সরব হয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনের সুর আরও তীব্র করলেন ডিএমকে নেতৃত্ব।