উচ্চবর্ণে বাজি কংগ্রেসের

উচ্চবর্ণের ভোট টানতে ব্রাহ্মণ নেতা মদনমোহন ঝাকে বিহারে রাজ্য সভাপতি পদে বসাল কংগ্রেস। বছর খানেক পরে সভাপতি পদে কাউকে বসানো হল। গত বছর নীতীশ কুমার মহাজোট ভাঙার পর থেকেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরানো হয় দলিত নেতা অশোক চৌধুরীকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:২১
Share:

মদনমোহন ঝা

উচ্চবর্ণের ভোট টানতে ব্রাহ্মণ নেতা মদনমোহন ঝাকে বিহারে রাজ্য সভাপতি পদে বসাল কংগ্রেস। বছর খানেক পরে সভাপতি পদে কাউকে বসানো হল। গত বছর নীতীশ কুমার মহাজোট ভাঙার পর থেকেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরানো হয় দলিত নেতা অশোক চৌধুরীকে। কার্যকরী সভাপতি করা হয় কোকব কাদরিকে। কিন্তু সভাপতি পদ নিয়ে দলের হাইকম্যান্ডের সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের মতভেদ ছিল। বহু আলোচনার পরে মিথিলার কংগ্রেস পরিবারের প্রবীণ সদস্যকেই বাছলেন সভাপতি রাহুল গাঁধী।

Advertisement

নীতীশ কুমার ও বিজেপিকে রুখতে প্রথমে মুসলমান নেতা মেহবুব আলি কাইসার, দলিত নেতা অশোক চৌধুরী বা পরে কার্যকরী সভাপতি পদে সংখ্যালঘু নেতা কোকব কাদরিকে বসান রাহুল। বিহারে এখন কংগ্রেসের কিছুটা জনভিত্তি থাকলেও রাজ্য-রাজনীতিতে ওই নেতাদের তেমন প্রভাব ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে জোটসঙ্গী আরজেডি-ও উচ্চবর্ণ থেকে প্রদেশ সভাপতি বাছার পরামর্শ দিয়েছিল কংগ্রেস হাইকম্যান্ডকে। রাজ্যে যাদব এবং মুসলিম ভোটের বড় অংশ রয়েছে জোটসঙ্গী লালুপ্রসাদের সঙ্গেই। কংগ্রেস উচ্চবর্ণের ভোটের একটা অংশ টানতে পারলে রাজ্যে এনডিএ-কে রুখে দেওয়া যাবে বলে মনে করছেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বও।

প্রদেশ সভাপতি পদে উচ্চবর্ণের কাউকে চাইছিলেন বিহারের কংগ্রেস নেতারাও। বিভিন্ন সময়ে সনিয়া ও রাহুল গাঁধীকে এই পরামর্শ দিয়ে এসেছেন তাঁরা। দলের পর্যবেক্ষককে বিহারের বেশির ভাগ কংগ্রেস নেতা জানান, রাজ্যের প্রায় ১০% উচ্চবর্ণের ভোটকে কাছে টানার জন্যও এটা জরুরি। শ্রীকৃষ্ণ সিংহ, অনুগ্রহ নারায়ণ সিংহ, সত্যেন্দ্র নারায়ণ সিংহ, জগন্নাথ মিশ্র, কেদার পাণ্ডের মোত নেতাদের নাম করে তাঁরা জানান, বিহার কংগ্রেসে উচ্চবর্ণের নেতাদের প্রভাবের প্রচুর উদাহরণ রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement