Cough Syrup Row

শিশুমৃত্যুর পর মধ্যপ্রদেশে নিষিদ্ধ কাশির একটি সিরাপ, রাজস্থানে নিষিদ্ধ আরও একটি, সাসপেন্ড ড্রাগ কন্ট্রোলারও

রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে কিডনি বিকল হয়ে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল বা এনসিডিসি)। অভিযোগ, কাশির ‘বিষাক্ত’ সিরাপ খাওয়ার ফলেই ওই শিশুদের কিডনি বিকল হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:৩৬
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

শিশুমৃত্যুর জের। গুণগত মান যথাযথ না-হওয়ায় ‘কোল্ডরিফ’ নামের একটি কাশির সিরাপ বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল মধ্যপ্রদেশ সরকার। পরীক্ষায় ধরা পড়েছে, কাশির ওই সিরাপে ক্ষতিকর রাসায়নিক রয়েছে। সিরাপের যে ব্যাচের বোতলগুলি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়, সেই একই ব্যাচের ওষুধ খেয়ে ওই রাজ্যের ছিন্দওয়াড়া জেলায় ন’জনের মৃত্যু হয়েছিল।

Advertisement

অন্য দিকে, কেসন ফার্মা নামের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার সরবরাহ করা কাশির সিরাপ-সহ ১৯টি ওষুধ বিক্রি আপাতত স্থগিত রেখেছে রাজস্থান সরকার। সে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বিনামূল্যের ওষুধ প্রকল্পে নিম্নমানের কাশির সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা। ইতিমধ্যেই সিরাপ-কাণ্ডে ড্রাগ কন্ট্রোলার (ওষুধের মান পরীক্ষক এবং নিয়ন্ত্রক) রাজারাম শর্মাকে সাসপেন্ড করেছে রাজস্থান সরকার। কী ভাবে ওই ওষুধগুলি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হল, তা খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞজের নিয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ু সরকারও গত ১ অক্টোবর থেকে সে রাজ্যে ‘কোল্ডরিফ’ সিরাপের বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। চেন্নাইয়ের একটি সংস্থা ওই সিরাপ তৈরি করে থাকে। ওই সিরাপে থাকা একটি উপাদানের জন্য কিডনি এবং যকৃতের সমস্যা হতে পারে বলে পরীক্ষায় ধরা পড়েছে।

Advertisement

রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে কিডনি বিকল হয়ে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল বা এনসিডিসি)। অভিযোগ, কাশির ‘বিষাক্ত’ সিরাপ খাওয়ার ফলেই ওই শিশুদের কিডনি বিকল হয়ে গিয়েছে। তার পরেই কাশির ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ওই সিরাপের মধ্যে শিশুদের জন্য ‘বিষাক্ত’, এমন কোনও পদার্থ রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখে তারা। শুক্রবার জানানো হয়, শিশুমৃত্যুর জন্য যে কাশির সিরাপকে দায়ী করা হচ্ছে, তার নমুনায় কোনও বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া যায়নি!

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, নমুনা পরীক্ষার ফল থেকে নিশ্চিত যে ওই কাশির ওষুধগুলিতে ডাইথিলিন গ্লাইকন বা ইথিনিল গ্লাইকন ছিল না। উল্লেখ্য, এই রাসায়নিক পদার্থগুলির কারণে কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশে যে ৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্য পাঁচ জন আগে কোল্ডরেফ এবং নেক্সট্রো সিরাপ খেত! অনুমান, সেই সব ওষুধ খাওয়ার ফলে ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে। তবে সেই বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে, শিশুদের কাশির ওষুধ খাওয়ানোর ব্যাপারে সতর্কতাও জারি করেছে কেন্দ্র। বলা হয়েছে, দু’বছরের কম বয়সি শিশুদের কাশির ওষুধ দেওয়া উচিত নয়!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement