এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কোনও মহিলা পূর্বপরিচিত হওয়া মানেই তাঁকে ধর্ষণের ছাড়পত্র মেলে না। সম্প্রতি এক ধর্ষণের মামলায় খারিজের আর্জির শুনানিতে এমনটাই জানিয়েছে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট। অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, তাঁর মক্কেল ধর্ষণ করেননি, যা হয়েছে মহিলার সম্মতিতেই হয়েছে। নিজের বক্তব্যের সপক্ষে তিনি জানান, অভিযোগকারী তাঁর মক্কেলের পূর্বপরিচিত এবং কিছু ছবিও আদালতে জমা দেন তিনি। তবে ধর্ষণের মামলা খারিজের আবেদন গ্রহণযোগ্য মনে করেনি আদালত।
আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘লাইভ ল’ অনুসারে, মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের বিচারপতি গুরপাল সিংহ আলুওয়ালিয়ার পর্যবেক্ষণ, নির্যাতিতা নিজের অভিযোগপত্রেও জানিয়েছেন তিনি অভিযুক্তকে গত তিন বছর ধরে চেনেন। অভিযুক্তের আইনজীবী যে ছবিগুলি দিয়েছেন, তা-ও সেই দিকেই ইঙ্গিত করে। তবে কোনও পুরুষ কোনও মহিলাকে চেনেন মানেই তিনি মহিলাকে ধর্ষণ করার ছাড়পত্র পেয়ে যান না।
নির্যাতিতার অভিযোগ, একটি চাষের খেত দিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত তাঁর পথ আটকেছিলেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন অভিযুক্ত। কিন্তু তিনি পাত্তা না-দেওয়ায় অভিযুক্ত তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। শুধু তা-ই নয়, মহিলার জাত নিয়েও কুকথা বলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার দাবি, ঘটনার কথা জানাজানি হলে তাঁর প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
ওই ঘটনার প্রায় দু’মাস পরে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। কেন দু’মাস দেরিতে অভিযোগ, তা নিয়েও আদালতে প্রশ্ন করেন অভিযুক্তের আইনজীবী। তবে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট জানিয়েছে, অভিযোগ জানাতে দেরি হওয়ার জন্য এফআইআর খারিজ করা যায় না। এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী একটি পর্যবেক্ষণের কথাও উল্লেখ করে হাই কোর্ট। সেখানে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, “কখন এফআইআর রুজু করতে হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও সময়ের কথা আইনে উল্লেখ নেই। ফলে এফআইআরে দেরি হওয়া বেআইনি নয়।”