—প্রতীকী চিত্র।
রেলস্টেশনে ২৫ বছরের এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ মধ্যপ্রদেশে। তবে অভিযোগ শোনার জন্য ওই স্টেশনে কেউ ছিল না। এফআইআর দায়েরের জন্য স্বামীকে নিয়ে ‘নির্যাতিতা’কে যেতে হল ৩০০ কিলোমিটার দূরে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত সোমবার এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু ‘ধর্ষিতা’ কেন ৩০০ কিমি পথ পেরিয়ে অভিযোগ জানাতে যেতে হল, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রেল তথা মধ্যপ্রদেশ প্রশাসন।
সূত্রের খবর, গত শনিবার মধ্যপ্রদেশের সিঙ্গরাউলি রেলস্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ২৫ বছরের যুবতী এবং তাঁর স্বামী। ট্রেন আসতে দেরি আছে দেখে স্বামী খাবার-দাবার কিনতে গিয়েছিলেন। স্ত্রী তখন গিয়েছিলেন স্টেশনের পাশেই একটি শৌচাগারে। অভিযোগ, সেখানে ধর্ষণ করেন এক যুবক। ‘নির্যাতিতা’র দাবি, তিনি চিৎকার-চেঁচামেচি করলে ওই যুবক হাসতে থাকেন। নিজের নাম-পরিচয় দিয়ে বলেন, তাঁর নাম করে চিৎকার করলেও কেউ আসবে না। কারণ, কেউ তাঁর কিচ্ছু করতে পারবে না।
কয়েক মিনিট পর স্টেশনে এসে স্ত্রীকে না দেখতে পেয়ে খোঁজ করতে থাকেন যুবতীর স্বামী। খানিক ক্ষণ পরে স্ত্রীকে পান শৌচাগারের পাশে।
সব কথা শুনে স্ত্রীকে নিয়ে যুবক সিঙ্গরাউলি জিআরপিতে অভিযোগ জানাতে যান। কিন্তু সেখানে কোনও মহিলা আধিকারিক ছিলেন না। দম্পতির দাবি, জিআরপি থেকে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া সেখানে অভিযোগ দায়ের করার ‘ব্যবস্থা’ নেই। কাছেপিঠে পুলিশ ফাঁড়িও পাননি। অতএব যেতে হয় ৩০০ কিলোমিটার দূরে কটনীতে।
যেতে যেতে পরের দিন সকাল হয়ে গিয়েছিল দম্পতির। গত রবিবার সকালে তাঁরা পৌঁছোন। কিন্তু সেখানেও কোনও মহিলা আধিকারিকককে পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে জিআরপি-র জব্বলপুরের ইনচার্জ সঞ্জিবনী রাজপুত কটনী স্টেশনে গিয়ে নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করেন। ঘটনাক্রমে তদন্তে জিআরপি একটি দল গঠন করে। সোমবার অভিযুক্তের সন্ধান মেলে। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।
জানা গিয়েছে, ওই দম্পতি মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার বাসিন্দা। উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রে কাজ করেন তাঁরা। ছুটির দিনে ট্রেনে করে বাড়ি ফেরেন দু’জন। আবার পরের দিন ট্রেনেই চলে যান কর্মস্থলে। শনিবার রাতে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন তাঁরা।