Crime

তিন তালাক দেওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় গেলেন তরুণী

ফেসবুকেই প্রথম মহীনের সঙ্গে আলাপ হয় আসমার। এ বছর ১৪ এপ্রিল মহীনের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৯ ১৮:০৬
Share:

তিন তালাক প্রথা এখন ফৌজদারি অপরাধ। —ফাইল চিত্র।

চলতি সপ্তাহেই ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে গণ্য হয়েছে তিন তালাক প্রথা। তার পরেই স্বামীর বিরুদ্ধে তিন তালাক দেওয়ার অভিযোগ তুললেন মধ্যপ্রদেশের এক তরুণী। বিয়ের তিন মাস কাটতেই স্বামী তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছে বলে দাবি তাঁর।

Advertisement

সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের বরওয়ানিতে এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগকারিণী ১৮ বছরের আসমা। শুক্রবার স্বামী মহীন মনসুরির বিরুদ্ধে থানায় যান তিনি। পুলিশকে আসমা জানিয়েছেন, গত ২৪ জুলাই তাঁকে বেধড়ক মারধর করে মনসুর। ডেকে পাঠায় তাঁর মাকে। এক সঙ্গে ঘর করতে পারবে না বলে জানায়। তাতে রাজি না হলে, মুখের উপর তিন তালাক দিয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে দেয়।

বরওয়ানির পুলিশ সুপার ডি এল তেনিওয়ার বলেন, ‘‘ মহীন তাঁকে প্রায়শই মারধর করত, মানসিক নির্যাতন চালাত এবং পণের দাবিও করত বলে অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী। তার ভিত্তিতে ৪৯৮-এ (পারিবারিক হিংসা) এবং বিবাহিত মুসলিম মহিলাদের অধিকার রক্ষা আইন ২০১৯-এর আওতায় মামলা দায়ের হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি আমরা। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।’’ পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, প্রায়শই আসমাকে মারধর করত মহীন। মানসিক নির্যাতনও চালাত। দাবি করত পণের।

Advertisement

আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা​

আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার সকালেও কালি লেপা ছিল না ট্রাকের নম্বর প্লেটে, উন্নাও-কাণ্ডে নয়া তথ্য​

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ফেসবুকেই প্রথম মহীনের সঙ্গে আলাপ হয় আসমার। এ বছর ১৪ এপ্রিল মহীনের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান তিনি। বাবা-মা থানা পুলিশ করলে পর দিন থানায় হাজির হন। নিজেকে প্রাপ্তবয়স্ক বলে ঘোষণা করেন। মহীনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়ে গিয়েছে বলে জানান। সেই থেকে বরওয়ানির রাজপুরে সংসার ছিল দু’জনের। তার মধ্যেই এই ঘটনা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন