National News

হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে আপাতত আস্থা ভোট স্থগিত তামিলনাড়ুতে

১৮ জন বিধায়ককে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল দিনকরণ শিবির। আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে দিল আদালত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চেন্নাই শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৬:৩০
Share:

বিধায়কদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত বৈধ কি না, তা আদালতের বিচারাধীন এখন। কিন্তু আস্থা ভোট এখন স্থগিত থাকায় পলানীস্বামীর সরকার আপাতত পড়ছে না। ছবি: পিটিআই।

আপাতত কোনও আস্থা ভোট নয়। আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আস্থা ভোট হবে না তামিলনাড়ু বিধানসভায়। বুধবার জানিয়ে দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। যে ১৮ জন বিধায়ককে সোমবার বরখাস্ত করেছিলেন স্পিকার, তাঁদের মধ্যে ৮ জন মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ই পলানীস্বামীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে দলত্যাগ বিরোধী আইনের অপব্যবহার করছেন স্পিকার, অভিযোগ করেছিলেন বিধায়করা। তাঁদের আবেদনের প্রেক্ষিতেই বুধবার আদালত আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে দিল। ১৮টি বিধানসভা কেন্দ্র শূন্য হয়েছে বলে ধরে নিয়ে সেখানে উপনির্বাচনের তোড়জোড়ও শুরু হয়েছিল। আদালত এ দিন নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি জারির উপরেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে নাজেহাল মুম্বই!

টি টি ভি দিনকরণের অনুগামী ১৮ জন এআইএডিএমকে বিধায়ক আগেই রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাওকে জানিয়েছিলেন যে, তাঁরা ই পলানীস্বামীর সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করছেন। পলানীস্বামীকে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দেওয়া হোক, রাজ্যপালের কাছে এই দাবিও জানানো হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যপাল তেমন কোনও নির্দেশ দেননি। আস্থা ভোট হবে কি না, তা নিয়ে টাপাপড়েন শেষে মাদ্রাজ হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। সেই মামলা চলাকালীনই দলবিরোধী কাজের দায়ে ১৮ জন বিধায়ককে বরখাস্ত করেন স্পিকার পি ধনপাল। ফলে বিধানসভার আসনসংখ্যা কমে যায়, কমে যায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় অঙ্কও। এই পরিস্থিতিতে আস্থা ভোট হলে ই পলানাস্বামীর সরকার টিকে যাওয়া নিশ্চিত ছিল। কিন্তু এ বার আস্থা ভোট আটকাতে তৎপর হলেন দিনকরণরাই। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে নিলেন বরখাস্ত হওয়া বিধায়করা।

Advertisement

আরও পড়ুন: উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়ল ৩৮৯ কোটির বাঁধ!

তামিলনাড়ুর বিরোধী দল ডিএমকে-র কৌঁসুলিও এ দিন শুনানিতে অংশ নেন। দিনকরণ শিবিরের সুরে সুর মিলিয়ে ডিএমকে কৌঁসুলিও দাবি করেছেন, স্পিকার অনৈতিক ভাবে বরখাস্ত করেছেন বিধায়কদের। যে বিধায়কদের বরখাস্ত করা হয়েছে, তাঁরা দল ছেড়ে বেরিয়ে যাননি, দলের বিরুদ্ধে ভোটও দেননি। তা সত্ত্বেও দলবিরোধী কাজের দায়ে কী ভাবে তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ হল? প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারীরা। বিধায়কদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত বৈধ কি না, তা খতিয়ে দেখবে আদালত। তার আগে আস্থা ভোট হচ্ছে না বলেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। তবে যত দিন না আদালতের রায় আসছে, তত দিন পলানীস্বামীর সরকার সুরক্ষিত বলেও মনে করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন