Maharashtra Minister

বিধানসভায় অনলাইনে তাস খেলায় মগ্ন মহারাষ্ট্রের কৃষিমন্ত্রী! সরানো হল পদ থেকে, পেলেন ক্রীড়া মন্ত্রক

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, মানিকরাওকে কৃষিমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বলা হয়নি। এমনকি তাঁকে অন্যত্র সরানোরও কোনও পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু দলের অন্দরে তাঁকে নিয়ে ‘চাপ’ ক্রমশ বাড়ছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৫ ১২:০৪
Share:

বিধানসভায় বসে অনলাইনে তাস খেলায় মগ্ন মহারাষ্ট্রের কৃষমন্ত্রী মানিকরাও কোকাটে। ছবি: সংগৃহীত।

বিতর্ক যেন তাঁর পিছু ছাড়ছে না। কয়েক মাস আগে কৃষকদের নিয়ে তাঁর মন্তব্যে বিতর্কের জল অনেক দূর গড়িয়েছিল। দল এবং সরকার দু’পক্ষকেই অস্বস্তির মুখে ফেলেছিলেন। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার বিতর্কে জড়ালেন মহারাষ্ট্রের কৃষিমন্ত্রী মানিকরাও কোকাটে। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে বিধানসভায় বসেই অনলাইনে তাস খেলার অভিযোগ উঠেছে। আর তার খেসারতও তাঁকে দিতে হল। কেড়ে নেওয়া হল মন্ত্রিত্ব। তবে কৃষিমন্ত্রীর পদ গেলেও মানিকরাওকে যে একেবারে খালি হাতে ফেরানো হয়েছে, তেমনটাও নয়। খেলার প্রতি তাঁর ‘শখ’ দেখেই কৃষি দফতরের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ক্রীড়া দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সূত্রের খবর, এই ঘটনার পরই বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস এবং উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার। ঘটনাচক্রে, মানিকরাও অজিত গোষ্ঠীর এনসিপি বিধায়ক। বৈঠকে মানিকরাওকে কৃষি দফতরের দায়িত্ব থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয় আর এক এনসিপি মন্ত্রী দত্তাত্রেও ভারনেকে। এনসিপির নেতা-মন্ত্রীরা বলছেন, মানিকরাওয়ের পদাবনতি হল। সূত্রের খবর, বিধানসভায় বসে তাস খেলার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর দল এবং সরকারের অন্দরে যে হুলস্থুল পড়ে যায়, তাকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মানিকরাও। কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাও চান। এমনকি আশ্বাস দেন ভবিষ্যতে এ রকম ঘটনা আর ঘটবে না। তবে কোনও কিছুতেই বরফ গলেনি। শেষমেশ কৃষিমন্ত্রিত্ব হারাতে হয়েছে তাঁকে। তবে দল এবং সরকার তাঁকে একেবারে নিরাশ করেনি। সে রাজ্যের ক্রীড়া দফতরের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁর হাতে।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, মানিকরাওকে কৃষিমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বলা হয়নি। এমনকি তাঁকে অন্যত্র সরানোরও কোনও পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু দলের অন্দরে তাঁকে নিয়ে ‘চাপ’ ক্রমশ বাড়ছিল। মানিকরাওয়ের ইস্তফার দাবি জোরালো হচ্ছিল। তাঁর মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেওয়ার দাবিও জোরালো হতে শুরু করে। শেষমেশ তাঁকে কৃষি থেকে সরানো হলেও ক্রীড়ায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Advertisement

এই প্রথম নয়, কয়েক মাস আগে শস্যবিমা নিয়ে মানিকরাওয়ের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে অস্বস্তির মুখে পড়তে হয় রাজ্য সরকারকে। সেই সময় মানিকরাও বলেছিলেন, ‘‘আজকাল ভিখারিরাও এক টাকা নেয় না। অথচ আমরা এক টাকার বিনিময়ে কৃষকদের শস্যবিমা দিচ্ছি। কিছু মানুষ এর অপপ্রয়োগ করছেন।’’ তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। যদিও মানিকরাও দাবি করেন, তাঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement